ছাতকে প্রশাসনিক সেবার মান নিয়ে জেলা প্রশাসকের ক্ষোভ

প্রকাশিত: ১:৪২ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৪, ২০১৯

ছাতকে প্রশাসনিক সেবার মান নিয়ে জেলা প্রশাসকের ক্ষোভ

ছাতক উপজেলায় প্রশাসনিক সেবার মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে  উন্নয়ন ও আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ছাতক কিন্তু এখানের প্রশাসনিক সেবার মান সন্তোষজনক নয়।

এ বিষয়ে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারও অবগত বলে জানিয়েছেন তিনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবেদা আফসারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার ছাতক সার্কেল বিল্লাল আহমদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপি বেগম, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ জামান খান, উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনসুর মিয়া, ইউআরসি ইন্সট্রাকটর মোস্তফা আহসান হাবিব।

ছাতক থানার ওসি (অপারেশন) গোলাম মোস্তফা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাহাব উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলী নেতা আবরু মিয়া তালুকদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ আহমদ, ছাতক প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ হারুন-অর রশীদ, ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ, আখলাকুর রহমান, আবুল হাসনাত, সাইফুল ইসলাম, মুরাদ হোসেন।

মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আব্দুস সামাদ, আনোয়ার রহমান তোতা মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা সামছুজ্জামান রাজা, মঞ্জুর আলম, সুনু মিয়া মেম্বার, নিশি কান্ত সিংহ প্রমুখ।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, জন দুর্ভোগ লাঘবে প্রতি বুধবার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে গণ শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষে পরিষদ চত্ত্বরে নির্মাণ করা হবে একটি সেবাশেড। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারী ভুমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নদীতে ভাসমান অবৈধ ওয়াসিং মেশিন ও ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন বন্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হাদা-পান্ডব এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের অরক্ষিত গণ কবর সংরক্ষণে নেয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। নদীপথে সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম কঠোর হস্থে দমন করার কথাও বলেন তিনি।

এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী রাজিব মোস্তফা, বাউবির উপ পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায়, প্রশানিক কর্মকর্তা অরবিন্দু দাস, ছাতক টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজের চীপ ইন্সট্রাকটর সামিউল আলম খন্দকার্।

মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সমাজ সেবা কর্মকর্তা শফিউল হক, লাফার্জ কর্মকর্তা হাবিবা রহমান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গোপিাল চন্দ্র দাস, একটি বাড়ি একটি খামারের জুলকার নাইন, জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের ফারুক আহমদ, আনসার-ভিডিপির প্রশিক্ষক মঈন উদ্দিন, ক্রিড়া সংস্থার সেক্রেটারী সৈয়দ লাল মিয়া, ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেনসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে বুড়াইরগাঁও অরুনোদয় গুচ্ছগ্রাম পরিদর্শন করে এখানে একটি তাল গাছের চারা রোপন করে তিনি স্থানীয়দের মাঝে তাল গাছের চারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ করেন। পরে গোবিন্দগঞ্জ বাজারের গরুর হাট ও গোবিন্দগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি।

দুপুরে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে সরকারী ধান সংগ্রহ কর্মসূচীতে অংশ নেন। এসময় তিনি উপজেলায় চলমান কৃষি শুমারী কার্যক্রমও পরিদর্শন করেন। পরিশেষে ভুমি অফিস সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট