মধ্যরাতের ভোটের সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারেনি ডাকসু নির্বাচনও : রিজভী

প্রকাশিত: ১:০০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০১৯

মধ্যরাতের ভোটের সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারেনি ডাকসু নির্বাচনও : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো মধ্যরাতের ভোটের সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারেনি ডাকসু নির্বাচনও।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন।

এর আগে তিনি বলেন, সিইসির বক্তব্যই প্রমাণ করে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তার নির্দেশেই ব্যালট বাক্স ভরা হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইভিএম নয়, গণতান্ত্রিক মানসিকতা দরকার।

তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনার’রা নিজেদের জীবন কোনো মূল্যবোধের ওপর গড়ে তোলেন নি। আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে তারা নিজেদের জীবনে মনুষ্যধর্মকে বিসর্জন দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সিইসি ও কতিপয় কমিশনারবৃন্দ নিজেদের জীবন গড়ে তুলেছেন ভোটারবিহীনভাবে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার জন্য। তারা ভোটের আগের দিন রাতে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স পূরণের তদারকি করেছেন।

রিজভী বলেন, সিইসি বলেছিলেন যে, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মতোই আগামী উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিইসির এই বক্তব্যে এটি সুষ্পষ্ট হলো যে, এই কমিশনের তদারকিতে উপজেলা নির্বাচনগুলোও ভুয়া ভোটের নির্বাচনের মহৌৎসবে পরিণত হবে। অর্থাৎ নির্বাচনের আগের রাতেই একই কায়দায় সরকার মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করা হবে।

রিজভীর মতে, ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে সাহায্য করে সিইসি বড় ধরনের অপরাধ করার পরেও তার ঐ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ভোটারদের সঙ্গে সাম্প্রতিক কালের সেরা রসিকতা করলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা মূলত: আওয়ামী লীগের ইচ্ছায় নির্বাচন-ব্যবস্থা ধ্বংস করার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। মন্ত্রীসভা ও সংসদ বহাল রেখে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে বলে তারা দাবি করেছেন। অথচ এটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দুরে থাক, বরং এটি খানা-খন্দে ভরা মাঠ, সেই বিষয়টি দেখেও নির্বাচন কমিশন তা উপেক্ষা করেছে।

তার অভিযোগ, তারা ন্যুনতম সুষ্ঠু একটি নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে উঠতে দিলেন না আওয়ামী সরকারের মোসাহেবী করতে গিয়ে। এদের দ্বারা অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোর মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রকৃত জনরায়ের প্রতিফলন ঘটানোর দিন শেষ হয়ে গেল।