২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:১২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
রাশিদ রিয়াজ : ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংলাপের জন্যে জোর প্রচেষ্টা চলছে। পাকিস্তানের হাতে আটক ভারতীয় বৈমানিক অভিনন্দনকে ফেরত দিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘোষণা সেই সংলাপে বসার ইঙ্গিত। বৈমানিক অভিনন্দনকে ফিরে না পেলে আসছে নির্বাচনে মোদীর দল বিজেপি কঠিন চাপে পড়ত বলে ভারতীয় বিশ্লেষকরা বলতে শুরু করলে দু’দেশের মধ্যে জোর কূটনৈতিক পর্যায়ে জোর আলোচনা শুরু হয়। ইতিমধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আটক ভারতীয় বৈমানিক অভিনন্দন বর্তমানকে ফেরত দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জিও টিভিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, পুলায়মে জঙ্গি হামলায় ভারতের দেওয়া নথিপত্র সবে হাতে পেয়েছি আমি। এখনও পড়ে দেখার সুযোগ পাইনি। তবে সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সবিস্তার আলোচনাও হয়েছে মন্ত্রিসভার যৌথ অধিবেশনে। শুরুতেই নথিপত্র পাঠিয়ে দিতে পারত ভারত। তা না করে প্রথমে বোমাবর্ষণ করে। নথিপত্র পাঠিয়ে দিলে এ সবের দরকার পড়ত না। তবে যাই হোক, মুক্তমনেই ভারতের দেওয়া প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখব।
ভারতের দাবি এর আগে মুম্বাই এবং পাঠানকোটের সময় সময় আগেভাগেই পাকিস্তানের হাতে সন্ত্রাসের সমস্ত প্রমাণ তুলে দেওয়া হয়েছিল। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গির পরিচয়পত্র, অডিও রেকর্ডিং সবই ছিল ওদের কাছে। কিন্তু পদক্ষেপ করা তো দূর, কোনও অভিযোগই মানতে চায়নি পাকিস্তান। পুলওয়ামা হামলার পর জইশের ভূমিকা অস্বীকার করছে পাকিস্তান।
ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতে না গিয়ে, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নিক তা চাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিশ^। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ভারত-পাকিস্তান থেকে ভাল খবর আসবে, শেষ হবে উত্তেজনা। উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমবে। আসবে আরও কিছু ভাল খবর। ভিয়েতনামের হ্যানয়-এ একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ট্রাম্প এও বলেন, ভারত এবং পাকিস্তান এই উত্তেজনা বাড়িয়েই যাচ্ছিল আর আমরা ওদের থামাতে নানা ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। মধ্যস্থতা করে কীভাবে ওদের থামানো যায় সেই চেষ্টাই করছিলাম আমরা।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জইশ জঙ্গিদের আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলায় ৪৪ জন ভারতীয় জওয়ান মারা যাওয়ার পর পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা করে বসে ভারত। পাল্টা জবাব দেয় পাকিস্তানও বিমান হামলার মাধ্যমে। উত্তেজনায় রাশ টানতে দুই দেশকেই সংযত হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছিল আন্তর্জাতিক দুনিয়া। আমেরিকা, চীন, ইরান থেকে শুরু করে ইউরোপিয় ইউনিয়ন, সবারই বক্তব্য ছিল যুদ্ধবিমান নয়, আলোচনার রাস্তায় বসে ঝামেলা মিটিয়ে নিক ভারত ও পাকিস্তান।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D