১৫৫ বছর পর পরিবর্তন আসছে কয়েদিদের সকালের খাবারে

প্রকাশিত: ৫:৪৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৯

১৫৫ বছর পর পরিবর্তন আসছে কয়েদিদের সকালের খাবারে

সারা দেশের সাধারণ কয়েদিরা এতদিন রুটি ও আখের গুড় দিয়ে সকালের নাস্তা করছেন। তবে ১৫৫ বছর পর এবার এই খাবারে পরিবর্তন আসছে। এখন সকালের নাস্তায় সপ্তাহের দুদিন খিচুড়ি, চারদিন রুটি-সবজি ও বাকি দিনগুলোতে রুটি-হালুয়া পরিবেশনের কথা বলা হয়েছে।

গত বছরের মে মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কারা অধিদপ্তরের একটি সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। ওই সুপারিশে কয়েদিদের সকালের নাস্তায় পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়।

কারা অধিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কয়েদিরা বহুদিন ধরে সকালের খাবারে পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়ে আসছেন। তাদের কথা ভেবেই এ পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে।

আমিরুল ইসলাম আরও বলেন, ঔপনিবেশিক শাসকদের ১৮৬৪ সালে বেঙ্গল কারাবিধি অনুসারে কয়েদিদের সকালের নাস্তায় রুটি ও আখের গুড় পরিবেশন করা হচ্ছে। এই খাবারের তালিকার পরিবর্তনের জন্য তারা এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন।

এদিকে সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক নূর খান লিটন। তবে কারাগারের সার্বিক অব্যবস্থাপনা ও খাবারের নিম্ন মান নিয়েও তিনি উদ্বেগও প্রকাশ করেন। তবে নতুন সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে কয়েদিদের পরিবেশিত খাবারে কিছুটা উন্নতি হবে বলে মনে করেন তিনি।

নূর খান বলেন, কারাগারে দর্শক যাচাই ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর পরিদর্শনের ব্যাপারে ঔপনিবেশিক আমলের দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা দরকার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, এ সুপারিশের বাস্তবায়নের জন্য তহবিল বরাদ্দ স্থগিত রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত ২০ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়ার পর কারা অধিদপ্তর দেশজুড়ে ১৩টি কেন্দ্রীয়সহ ৬৪ কারাগারে নতুন তালিকার খাবার পরিবেশন করবে।

বর্তমানে ৪০ হাজার কয়েদিদের সক্ষমতার বিপরীতে ৯০ হাজারের জন্য সকালের নাস্তায় রুটি ও গুড়সহ তিন বেলার খাবারে ২৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

কর্মকর্তারা বলেন, রংপুরের উপ কমিশনার ২০১৮ সালের ৩ মার্চ রংপুর কারাগারে পরিদর্শনে যাওয়ার পর কয়েদিদের সকালের খাবারের মেন্যুতে পরিবর্তন আনার অনুরোধ করেছিলেন। এর পরেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।