২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিপরিষদের সভা কক্ষে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগকারী টেকনোক্র্যাট কোটার চার মন্ত্রীও বৈঠকে যোগ দেন। এ নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকটি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সেই বৈঠকে যোগ দেওয়া চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়কমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদের টেকনোক্র্যাট সদস্য হচ্ছেন তারা, যারা জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্য নন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া সদস্য রয়েছেন মোট ৫৩ জন। তাদের মধ্যে পূর্ণমন্ত্রী ৩৩ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৮ জন এবং উপমন্ত্রী দুজন।
এ ব্যাপারে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, পদত্যাগপত্র জমা দিলেও তাদের পদ শূন্য করে এখনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। এ কারণে তারা এখনো মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ছাড়া আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের নাম পরিবর্তন করে এর নাম ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশ্বে বাণিজ্য সম্প্রসারণের পর এখন ট্যারিফ কমিশন সব দেশেই ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ কারণেই মন্ত্রিসভা এ কমিশনের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, ট্যারিফ কমিশন ১৯৭৩ সালে একটি প্রজ্ঞাপন দিয়ে গঠিত হয়। পরে ১৯৯২ সালে এটি একটি আইন দ্বারা পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়। এখন আইনটি সংশোধন করে নাম পরিবর্তন হচ্ছে।
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এ ছাড়া আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড শীর্ষক চুক্তির খসড়ার ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ চুক্তির আওতায় আগের বন্দরগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের পানগাঁও ও ভারতের আগরতলার ধুপি বন্দরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সচিব বলেন, বাংলাদেশ থেকে পণ্যবাহী ট্রাক ও ট্রেইলার সরাসরি ভারতের আগরতলা পর্যন্ত যেতে পারবে। সীমান্তে ট্রাক বদলের প্রয়োজন হবে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন থেকে সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ এবং সিরাজগঞ্জ থেকে ভারতের দই খাওয়া পর্যন্ত খনন করা হবে। এতে খনন কাজের ৮০ ভাগ ব্যয় বহন করবে ভারত এবং ২০ ভাগ বহন করবে বাংলাদেশ।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D