গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রাবেল বিজয়ী

প্রকাশিত: ১১:০৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০১৮

গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রাবেল বিজয়ী

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ও ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবিতে রাত ৮টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।

বুধবার রাত ৮টার দিকে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিল করতে করতে শাহবাগ গিয়ে অবরোধ করে। তাদের অবরোধের ফলে শাহবাগে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

সরকারি চাকরির সব ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে থাকবে না। এটা হতে পারে না। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতেও আগের মতো ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকতে হবে। নইলে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

এদিকে দাবি আদায়ে আগামী শনিবার বিকেল ৩টায় শাহবাগ মোড়ে মহাসমাবেশ করবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আল সনেট এই তথ্য জানিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আতিকুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম প্রিন্সের নেতৃত্বে রাত ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তারা ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে শাহবাগে এসে সড়ক অবরোধ করেন।

এদিকে, আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অলিক ম্রি বলেন, ‘আগামী তিন দিনের মধ্যে আদিবাসী কোটা ৫ শতাংশ না রাখলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামব।’

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বহুদিন ধরেই আন্দোলন করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। তাদের দাবি ছিল, কোটা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা। আন্দোলনের মুখে ২ জুলাই গঠন করা হয় কোটা সংস্কার কমিটি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত, অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের সুপারিশ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের নেতৃত্বাধীন কমিটি। সচিব কমিটি মোট তিনটি সুপারিশ করেছিল। পরে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন শেষে তা আসে মন্ত্রিসভায়।

শেষে সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। তবে সচিব কমিটি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরির জন্য কোটা বাতিলের ব্যাপারে কোনো সুপারিশ করেনি। ফলে এ ক্ষেত্রে বর্তমানে যে নিয়ম বহাল রয়েছে, তা-ই থাকবে।