স্থগিত হয়নি শহিদুল আলমের ১ম শ্রেণির বন্দী সুবিধার আদেশ

প্রকাশিত: ২:০৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮

স্থগিত হয়নি শহিদুল আলমের ১ম শ্রেণির বন্দী সুবিধার আদেশ

শহিদুল আলমকে সোমবার আদালতে নেওয়া হয়।ফাইল ছবিতথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর সুবিধা দিতে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ১ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন চেম্বার বিচারপতি। ২৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী এ আদেশ দেন।

গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে শহিদুল আলমকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর সুবিধা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। শহিদুল আলমকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সেদিন আদালত রুলসহ ওই নির্দেশ দেন।

এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদনটি করেছিল, যা ১৭ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে। সেদিন আদালত আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল করে, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন শরীফ ভূইয়া ও তানিম হোসেইন।

তানিম হোসেইন বলেন, শহিদুল আলমকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর মর্যাদা দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ওই লিভ টু আপিল করে।

চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে ওই লিভ টু আপিল ১ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছেন। সেদিন লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি হবে।

আইনজীবী সূত্র বলছে, এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম কারাবিধি অনুযায়ী শহিদুল আলমকে কারাগারে ডিভিশন দিতে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেন। কারা কর্তৃপক্ষ বিধি অনুসারে তা অনুমোদনের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠায়।

তবে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদন না পৌঁছানোয় দীর্ঘসূত্রতা ও শহিদুল আলমকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দী মর্যাদা দিতে নির্দেশনা চেয়ে ৪ সেপ্টেম্বর রিটটি করা হয়।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ তথ্য প্রচারের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় গত ৫ আগস্ট রাতে শহিদুল আলমকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে তুলে নেয় ডিবি। ৭ দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।