নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে পারি : এরশাদ

প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮

নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে পারি : এরশাদ

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জোটগত হলে আওয়ামী লীগের কাছে ১০০টি আসন চেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা প্রসঙ্গে তিনি জানান, নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে তার কোনো বাধা নেই, তিনি থাকতে পারেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুদিনের সফরে রংপুরে এসে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

এরশাদ বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে ১০০টি আসনের তালিকা দিয়েছি আওয়ামী লীগকে। ৬০ থেকে ৭০টি আসন তো অবশ্যই পাবো। এর মাঝে রংপুরের সবগুলো আসনও রয়েছে।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের পক্ষে নেই বলেও মন্তব্য করেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেছেন, ‘ইভিএমের পক্ষে এখনও নেই, আগেও ছিলাম না। ইভিএম সিস্টেম সর্বজন গৃহীত নয়। তাই এর মাধ্যমে যে কারচুপি হবে না তা সম্পর্কে এখন আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।’

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জোটে বিএনপি অংশ নিচ্ছে-এ প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ‘জোট তো যে কেউ করতে পারে, সেটাতে বিএনপি অংশ নেবে, এখনও নেয়নি। যোগ দিলে সেটি কতটুকু শক্তিশালী জোট হবে আমি জানি না। তবে বিএনপি নির্বাচনে আসলে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের জোটে থাকবে। আমাদের জোটকে পরাজিত করা সহজ হবে না।’

আওয়ামী লীগের দখলে চলে যাওয়া রংপুরের আসনের ব্যাপারে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা রংপুরের কোনো আসন ছাড়তে রাজি নই। এক সময় সব আসন আমাদের ছিল, নির্বাচন না করার কারণে সেগুলো আওয়ামী লীগের দখলে চলে গেছে। আসনগুলো ফেরতের জন্য তালিকা দেওয়া হয়েছে। আশা করি সব আসন আমরা ফিরে পাব।’

নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসলো কিংবা না আসলো জাতীয় পার্টির তাতে কিছু যায় আসে না। যারা বিএনপি করে তারাই ঠিক করবেন নির্বাচনে আসলে তারা কি করতে পারবেন, কয়টি সিট পাবেন এবং আসা ঠিক হবে কি না।’

নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে আমার কোনো বাধা নেই। বিরোধীদলীয় নেত্রী এতে থাকতে পারবে না। আমি থাকতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘লালমনিরহাটে আমার ছোট ভাই জিএম কাদের নির্বাচন করবেন। এ ছাড়া আমি রংপুর সদর-৩ আসন ও ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচন করব। তৃতীয় কোন আসনে নির্বাচন করব, তা পরে জানানো হবে।’

এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য অব. মেজর খালেদসহ স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।