১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:১২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
‘ড. কামাল হোসেন, বি. চৌধুরী, মান্না, আব্দুর রব ওনারা হচ্ছেন রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিত্ব। এই পরিত্যক্ত রাজনীতিবিদদের নিয়ে ঐক্য করে কিছু হবে না। তাদের নিজেদেরই এমপি হওয়ার জনপ্রিয়তা নেই এলাকায়। ওনারা বড় বড় রাজনীতিবিদ, বড় বড় ব্যক্তিত্ব কিন্তু মূল বিষয় হচ্ছে ওনারা সবাই পরিত্যক্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব’ বলে সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল, বলরাম পোদ্দার, চিত্তরঞ্জন দাস প্রমুখ।
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করার লজ্জা মির্জা ফখরুল ঢাকতে পারছেন না মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতারা জাতিসংঘে যাচ্ছেন। পত্রিকায় খবর দেওয়া হলো জাতিসংঘের মহাসচিব নাকি তাদের ডেকেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব এখন আফ্রিকায় আর তিনি নাকি তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ডেকেছেন। আর দেখা করলেন তারা জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে। আমাদের দেশে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার পর প্রথম যার চাকরি হয় তিনি হন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি। আর জাতিসংঘেরও সর্বনিম্ন অফিসারদের টায়ার হচ্ছে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি। ওনারা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করলেন। তা মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো কি আলোচনা হয়েছে, আমতা আমতা করে কিছু বলতে পারলেন না। অর্থাৎ জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য ওনারা জাতিসংঘে গেছেন আর সেখানের সর্বনিম্ন টায়ারের সঙ্গে দেখা করেছেন।’
বিএনপি নেতারা জাতিসংঘে গিয়ে জাতির সঙ্গে ভাঁওতাবাজী করেছেন-এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এগুলো জাতির সঙ্গে ভাঁওতাবাজী করা ছাড়া আর কিছুই না। তাই আমি বিএনপিকে অনুরোধ করব-জাতিকে ধোঁকা দিয়ে লাভ নেই। আপনাদের পায়ের তলায় মাটি নাই, সেটি পরিষ্কার হয়ে গেছে। সরকারের বিরুদ্ধে যদি আপনাদের কোনও বক্তব্য থাকে, কোনও অভিযোগ থাকে, আপনারা যদি জনগণের জন্য রাজনীতি করে থাকেন, তাহলে জনগণকে অভিযোগ দিবেন। সমস্ত পৃথিবী ঘুরে বিদেশিদের কাছে অভিযোগ দিবেন, তারা কি দেশে এসে ভোট দিবে? কোনও দেশের রাজনৈতিক বিরোধ নিরসন করা জাতিসংঘের কাজের মধ্যে পড়ে না। সম্ভবত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সেটাই জানিয়ে দিয়েছেন। এই কারণেই মনে হয় মির্জা ফখরুল সাহেব আমতা আমতা করছেন, কি আলোচনা হয়েছে কিছু বলতে পারছেন না।’
বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে না দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে কারা আছে তাদের পরিচয় জানা দরকার। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো কি করবো না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আমার আছে, সেই স্বাধীনতা আমার আছে। কিন্তু আরেকজন নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে না সেটার জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা অন্যায়। বিএনপি ২০১৪ সালে সেটা করেছিল। তারা এখনও গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য সমস্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
লবিস্ট ফার্মকে দেওয়া অর্থের উৎস তদন্তের দাবি জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। ২০ হাজার ডলার ইতোমধ্যে দিয়েছেন, প্রতিমাসে তাদের ৩৫ হাজার ডলার করে দিতে হবে। আমি সরকারকে অনুরোধ জানাবো, যেহেতু বিএনপি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। এ নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ৩৫ হাজার ডলার প্রতিমাসে দেওয়া কিংবা ২০ হাজার ডলার কোথা থেকে দেওয়া হলো? এটা নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’
খালেদা জিয়ার সুবিধার্থে কারাগারে আদালত স্থাপন করা হয়েছে এমন দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে যেই ভবনে রাখা হয়েছে, শুধুমাত্র সেই ভবনটিকে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, বাকি ভবনগুলো কিন্তু কারাগারের অংশ নয়। বাকিগুলো পরিত্যক্ত কারাগারের অংশ মাত্র। সেই পরিত্যক্ত একটি ভবনে খালেদা জিয়ার জন্য আদালত বসানো হয়েছে। এটি তার সুবিধার জন্য বসানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে আইন আছে, কেউ যদি পলাতক হয় তার বিচার কিন্তু পলাতক অবস্থায়ই হয়। আর কোনও আসামি যদি থেকেও আদালতে হাজির না হয় তাহলেও কিন্তু তার বিচার তার অনুপস্থিতিতে করার সুযোগ রয়েছে। আমি সরকার , আইন মন্ত্রণালয় এবং সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ জানাবো আইন এবং আদালতকে সমুন্নত রাখার স্বার্থে আদালতের ও আইনের বিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়ার মামলা বিবেচনা করার।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D