১৬ আগস্টের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়া হবে

প্রকাশিত: ১১:৪৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০১৮

১৬ আগস্টের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়া হবে

দেশের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নন-গেজেটেড কর্মচারী, সামরিক বাহিনীর নন-কমিশন্ড অফিসার ও কর্মচারীদের চলতি মাসের বেতন-ভাতা ১৬ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।

একই সাথে একই দিনে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের অবসর ভাতাও পরিশোধ করা হবে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের সরকারি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আগামী ২২ আগস্ট (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য চলতি মাসের বেতন-ভাতা ১৬ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।

আরো পড়ুন…
অনলাইন গণমাধ্যম সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ডে বেতন-ভাতা!
ঢাকা: অনলাইন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ওয়েজবোর্ডে পরিশোধিত হবে। তা দিতে হবে ব্যাংক হিসাবে। ১৯ জুন সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ‘অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা’ অনুযায়ী গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও কর্মরত সাংবাদিকদের থাকতে হবে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন)।

‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০১৭’ এর খসড়ায় বলা হয়, অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংবাদপত্রের বিদ্যমান ওয়েজবোর্ডের নিয়ম-কানুন অনুসরণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, বিদ্যমান ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী সংবাদপত্রে সব কর্মীর আয়কর প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার বিধান রয়েছে। সংবাদপত্র যেভাবে সুবিধা পেয়ে থাকে অনলাইন গণমাধ্যম নিবন্ধন পাওয়ার পর সরকারের সুযোগ সুবিধা পাবে। তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সংবাদপত্র সরকারের বিভিন্ন বিভাগ দফতর, অধিদফতর, পরিদফতর ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন থেকে পেয়ে থাকে। বর্তমানে ই-টেন্ডার ব্যবস্থা চালু রয়েছে সরকারিভাবে, যা অনলাইন গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন হিসেবে দেয়া হবে।

জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

শফিউল আলম বলেন, খসড়ায় বলা হয়েছে- বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে প্রকাশিত ইন্টারনেটভিত্তিক রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র এবং এ জাতীয় সংবাদমাধ্যম অনলাইন গণমাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হবে। এ আইনে অনলাইন গণমাধ্যম পরিচালনার জন্য একটি গাইডলাইন থাকবে। এ জন্য নিবন্ধনও লাগবে। সম্প্রচার কমিশন এ নিবন্ধন দেবে।

তিনি বলেন, জাতীয় সম্প্রচার আইন নামে একটি পৃথক আইন তৈরির কাজ চলছে। সেই আইনে কমিশনের কাজ ও গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলা থাকবে। তবে ১৯৭৩ সালের ছাপাখানা আইন অনুযায়ী যেসব সংবাদপত্র প্রকাশিত হয় তাদের অনলাইন ভার্সন থাকলে নিবন্ধন লাগবে না। তবে পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে কমিশনকে পত্রিকার অনলাইন ভার্সন সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।

অনলাইনগুলোর কোড অব গাইডেন্স তৈরি করবে কমিশন। অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ, তথ্য, ছবিসহ যেকোনো বিষয়ে যদি কারো আপত্তি থাকে, কারো অধিকার ক্ষুণ্ন হয় কমিশনের কাছে আবেদন করতে হবে। কমিশন ৩০ দিনের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে। নিষ্পত্তির বিষয়গুলো সম্প্রচার কমিশন আইনের বিধিমালায় উল্লেখ থাকবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার সঙ্গে অনলাইন নীতিমালা সামঞ্জস্য করা হবে। নিষ্পত্তিতে নির্দেশনা ও জরিমানার ব্যবস্থাও থাকবে।

বিদ্যমান অনলাইনগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে বিদ্যমান অনলাইনের সংখ্যা ১৮শ’। এর তালিকা তৈরি করেছে তথ্যমন্ত্রণালয়। কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী অনলাইনগুলো চলবে। এ সংক্রান্ত সম্পূরক আইনগুলো অনলাইন নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত হবে বলেও জানান তিনি।