প্রসঙ্গ সিসিক নির্বাচন : কারান্তরিন মেরাজও মামলার আসামি!

প্রকাশিত: ১২:২৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০১৮

নিজাম ইউ জায়গীরদার : সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার চলছেই। গতকালও সিলেট মহানগর যুবদল নেতা মন্তাজ হোসেন মুন্না, নিয়ামত এলাহী‘সহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া নেতাকর্মীদের গ্রেফতার আতঙ্কে ফেলার জন্য বাসা,বাড়িতেও হানা দিচ্ছে পুলিশ।
নির্বাচনে দায়িত্বরত দলের নেতাকর্মীদের বেছে বেছে মামলার আসামী করে গণগ্রেফতার শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আটক দেখানো হচ্ছে সিসিকের বাইরের থানাগুলো থেকে । এছাড়াও দক্ষিন সুরমা থানার এসআই আবু রায়হান আহমদ গতকাল ২৬ জুলাই বৃহস্পতিবার বাদী হয়ে ককটেল হামলার যে মামলা করেছেন ওই মামলায় ১৮নং আসামি মদন মোহন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী মেরাজ। তিনি ৫ মাস যাবত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন।

এব্যাপারে এক বিএনপি নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরানের পক্ষে কাজ করছে সিলেটের প্রশাসন। পর পর তিনটি মামলাই এর জলন্ত প্রমান, তার চেয়ে বড় প্রমান এ মামলায় ৫ মাস থেকে কারান্তরিন কাজী মেরাজকেও আসামি করা হয়েছে।

সিলেটের দক্ষিন সুরমায় ককটেল হামলায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহত হয়েছেন। আহত এসআই রায়হান আহমদ দক্ষিন সুরমার কদমতলী ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছেন। এসময় তার মোটরসাইকেলটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিন সুরমার হুমাযুন রশীদ চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় মোটরসাইকেলে ছিলেন এসআই রায়হান। এমন সময় দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ করে ককটেল নিক্ষেপ করলে তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবু রায়হান ডিউটি শেষ করে বাসায় যাওয়ার পথে এ হামলা হয়। এসময় একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এছাড়া দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি জানান, হুয়ায়ুন রশীদ চত্বর এলাকায় যাওয়ার পর একদল যুবক মিছিল সহকারে এসে তাকে লক্ষ করে কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণে এসআই রায়হান আহত হন। তবে ঘটনার পর কে বা কারা কোন প্রার্থীর পক্ষে মিছিল নিয়ে এসে হামলা করা হয়েছে সে বিষয়টি জানাতে পারেননি ওসি ফজল। ওসি জানান, আহত আবু রায়হান ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে বাসায় ফিরেছেন। এদিকে এই হামলার ঘটনায় ৪৮ জন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুধবার রাতে আহত এসআই আবু রায়হান আহমদ দক্ষিন সুরমা থানায় এ মামলাটি করেন। মদন মোহন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী মেরাজ ৫ মাস থেকে কারান্তরিন কিন্তু এ মামলায় তাকেও ১৮নং আসামি করা হয়েছে ।

মামলার এজাহারে আসামির তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেনঃ

আক্তার রশীদ চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, তানভীর আহমদ আবির, আজাদ, মির্জা জনি, পারভেজ, বাবলু, শাহিন, আজহার আলী মানিক, হাবিব, খায়রুল, নাজমুল ইসলাম চৌধুরী, আতিফ চৌধুরী, মামুন আহমদ, রুহেল আহমদ, ছাত্রদল নেতা আলী আকবর রাজন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না, মদন মোহন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী মেরাজ, এস এম সেফুল, কামরুজ্জামান দিপু, ১০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নিয়ামত এলাহী, রিয়াজ উদ্দিন বাদশা, কয়েছ, জাবের, নাজিম উদ্দিন লস্কর, আব্দুস ছামাদ, সাবেক ছাত্রদল নেতা শাকিল মোর্শেদ, আজিজুল হোসেন আজিজ, মুন্না, ফয়েজ, ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খোকন, রজব আলী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইসতিয়াক সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ খান জামাল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি ভিপি মাহবুব, আফছর খান, রাসেল খান, রাজিব খান, শাহ জাহান, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নাবিল রাজা চৌধুরী, আব্দুস সামাদ তুহেল, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রকিব চৌধুরী, বাচ্চু মিয়া, মহানগর বিএনপির ক্রিড়া সম্পাদক রেজাউল করিম নাচন, ডিসকো, রাসেদ এবং ফয়েজ আহমদ কয়েছ।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট