সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী দলটির মহানগর সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী সদ্য বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রচারণার অভিযোগ এনে রিটার্নিং অফিসার মো. আলীমুজ্জামানের কাছে আরিফের পক্ষে অভিযোগ দাখিল করেন বিএনপির জেলা সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ। আজ সোমবার সকালে এ অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘আসন্ন সিলেট সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও যেহেতু এখনও প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হয় নি, তাই নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী কেউই প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারেন না। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি, সিলেট সিটি করপোরেশনের সরকার দলীয় মেয়র পদপ্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও তার পক্ষে তারই স্ত্রী আসমা কামরান এবং যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দীন আহমদ কামরানের ছেলে আরমান আহমদ শিপলু নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে লিফলেট বিতরণসহ প্রচারণা চালাচ্ছেন। যা বিভিন্ন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।’

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘নির্বাচনের প্রথম ও প্রধান শর্ত যেখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করা। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য হুমকি হয়ে যাচ্ছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রতীক বরাদ্দের আগেই যেভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, তা নির্বাচনের আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন এবং স্থানীয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, যা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অন্তরায়।’

সিলেট সিটি নির্বাচন ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ’ করার স্বার্থে নৌকা প্রতীকের পক্ষে যারা ‘নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে করেছেন’, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আরিফের পক্ষে ওই অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার মো. আলীমুজ্জামান বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছি। এই অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রার্থীকে সতর্ক করে দেওয়া হবে।