টানা বর্ষণে মৌলভীবাজারের সঙ্গে সিলেটের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: ৬:৫৮ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০১৮

টানা বর্ষণে মৌলভীবাজারের সঙ্গে সিলেটের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

পাহাড়ী ঢল ও টানা বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যার মৌলভীবাজারের মনু নদের বাঁধ ভেঙে রাস্তা প্লাবিত হওয়ায় এ জেলার সঙ্গে সিলেট ও জেলার চার উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বানভাসি মানুষ।

রোববার সকাল থেকে পৌরসভাধীন বড়হাট এলাকায় মৌলভীবাজার-সিলেট রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে, শনিবার মৌলভীবাজার-রাজনগর-সিলেট রোডের রাজনগর উপজেলাধীন কদমহাটা এলাকায় বন্যার পানিতে রাস্তা তলিয়ে গেলে এই রোডে যান চলাচল বন্ধ করা হয়।

এর ফলে সিলেটের সঙ্গে মৌলভীবাজারের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া জেলার রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মনুর ভাঙন দিয়ে দ্রুত গতিতে পানি প্রবেশ করে মৌলভীবাজার-সিলেট রোডে কোমরজল দেখা দিয়েছে। প্রবল বেগে পানি প্রবাহ বাড়ছে শহরের দিকে। এর ফলে এই রোডে যান চলাচল বন্ধ করে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। রাস্তার দুই পাশে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন আটকে রাখা হয়েছে।

এদিকে, মনুর বাঁধ ভাঙায় মৌলভীবাজার শহরের একাংশ প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড ও তিনটি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্রমাগত পানি গড়াচ্ছে আশপাশের এলাকাগুলোতে। শহর ও শহরতলীর বাসাবাড়িতে পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানিতে ডুবে আছে। এর ফলে বন্যা পরিস্থিতি মহামারি আকার ধারন করেছে। দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দিরা।

অন্যদিকে, জেলার কুলাউড়া, রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ঘরবাড়ি, দোকানপাট, স্কুল কলেজ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় এখনও পানি রয়েছে। সেনাবাহিনী বন্যার্তদের সহযোগিতায় কাজ করছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. তোফায়েল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসন তৎপর রয়েছে। শহরের বাইরে থেকে নৌকা এনে পানিবন্দিদের উদ্ধার কাজ চলছে। শহরে পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সেখানে মানুষ আশ্রয় নিচ্ছেন। উপজেলাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট