খালেদা জিয়ার জামিন আইনে না হলে অন্য পন্থা : নজরুল ইসলাম খান

প্রকাশিত: ১১:২৯ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০১৮

খালেদা জিয়ার জামিন আইনে না হলে অন্য পন্থা : নজরুল ইসলাম খান

আইনি প্রক্রিয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে অন্য পন্থায় মুক্ত করে আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

সোমবার দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় নজরুল এ মন্তব্য করেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম প্রমুখ।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা যদি করা না হয় তাহলে তিনি প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারেন, দৃষ্টিহীন হয়ে যেতে পারেন। সরকার চায় তিনি পঙ্গু হয়ে যাক, দৃষ্টিহীন হয়ে যাক।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তাকে মুক্ত করার জন্য যা করা প্রয়োজন, আমাদের তাই করতে হবে। তার জন্য সর্বোচ্চ যে পর্যায়ে যাওয়া প্রয়োজন, সেখানেই যেতে হবে।’

প্রবীণ এই শ্রমিক নেতা বলেন, আমরা রাজনীতি করি। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারি। কিন্তু শত্রু তো নয়।। সরকার যেভাবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আচরণ করছে তা কোনোভাবে আশা করা যায় না। খালেদা জিয়াকে আপনারা ভয় পান বলেই এসব করছেন। কারণ তিনি জনগণের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তাকে মুক্ত করে আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়ায় না হলে আমরা অন্যপন্থায় যাবো। আর সে পন্থা হবে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক আন্দোলন। আগামী দিনে শক্তিশালী আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে এই সরকার। গণতন্ত্র শেষ, বিচার বিভাগ শেষ, পার্লামেন্ট তো আগে থেকেই নেই। শেয়ারবাজার, ব্যাংক লুট করেছে। এসবের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আন্দোলন করছিলেন বলেই তাকে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে। একটি পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দি তিনি। সে কারাগারে আর কোনো কয়েদি নেই। তিনি অসুস্থ। তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন ডাক্তাররা। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ডাক্তার বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা যদি করা না হয় তাহলে তিনি প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারেন, দৃষ্টিহীন হয়ে যেতে পারেন। সরকার চায় তিনি পঙ্গু হয়ে যান, দৃষ্টিহীন হয়ে যান।’

এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারি, কিন্তু শত্রু তো না। সরকার যেভাবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আচরণ করছে, তা কোনোভাবে আশা করা যায় না। খালেদা জিয়াকে আপনারা ভয় পান বলেই এসব করছেন। কারণ, তিনি জনগণের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তাকে মুক্ত করে আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়ায় না হলে আমরা অন্য পন্থায় যাব। আর সেই পন্থা হবে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক আন্দোলন। আগামী দিনে শক্তিশালী আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আইয়ুব খান ও ইয়াহিয়া খানের শাসনের পতন করেছি। কিন্তু আজ আমাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী। যারা ১৯৭৫ সালে গণতন্ত্র হরণ করেছিল এবং ১৯৮২ সালে যারা গণতন্ত্র হরণ করেছিল, তারা এক হয়েছে। তাদের পতন করতে হবে।