জাফলং সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু

প্রকাশিত: ১:২৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০১৮

জাফলং সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু

সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাটের অন্যতম পর্যটন স্পট জাফলং। উপজেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৩ কিলোমিটার। তবে, পিয়াইন নদীতে একটি সেতুর অভাবের কারণে সরাসরি যান চলাচল ছিল অসম্ভব। ফলে ঘুর পথে দীর্ঘ ৩৫ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে যেতে হতো সেখানে। এ কারণে গোয়াইনঘাটবাসীর দাবি ছিলো সেতু নির্মাণের।

উপজেলাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে সেখানে একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০১৩ সালের শেষের দিকে শুরু হয়ে টানা চার বছর কাজ করার পর সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি ৩৬০ মিটার দীর্ঘ ও ৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থ। সেতুটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএনও (জেভি)। পিসি গার্ডার প্রকল্পের এ সেতুটিতে অর্থায়ন করছে এলজিইডি।

জাফলং নদীর ওপর জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি নির্মাণ করায় গোয়াইনঘাটের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে বলে উপজেলাবাসী আশা প্রকাশ করেছেন। এতে সিলেট শহর থেকে জাফলংয়ের দূরত্ব কমেছে প্রায় ১৮ কিলোমিটার। অন্যদিকে উপজেলা সদরের সঙ্গে জাফলংয়ের দূরত্ব কমে এসেছে প্রায় ৪০ কিলোমিটার।

শনিবার পহেলা বৈশাখের দিনে আনুষ্ঠানিক ভাবে যান চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়। এতে আনন্দে ভাসছে জাফলংবাসী। সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গোয়াইনঘাটবাসীর জন্য নববর্ষের প্রথম দিনে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে সেতুটি উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লেবু। গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল আলম ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন মেনন’র যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম.পি ইমরান আহমেদ সিলেট-তামাবিল মহা সড়কের বেহাল দশার চিত্র তুলে ধরে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে একনেক’র সভায় ১শ’ ৯০ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে। মাস দুয়েকের মধ্যেই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গোয়াইনঘাটের ইউএনও বিশ্বজিত কুমার পাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইব্রাহিম, গোয়াইনঘাট ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক, ওসি গোয়াইনঘাট মোঃ দেলওয়ার হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আব্দুল হক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ’র সিনিয়র সহ-সভপাতি সাবেক চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, ইউপি চেয়ারম্যান এস কামরুল হাসান আমিরুল, আমিনুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জামাল উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা আসলাম মিয়া, ইসমাঈল আলী মাষ্টার, সুভাস চন্দ্র পাল ছানা, সাবেক চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক শাহেদ আহমদ, লুৎফুল হক, ফরিদ আহমদ শামিম, মিনহাজুর রহমান, এম নিজাম উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফারুক আহমদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহাব উদ্দিন, আহমেদ মোস্তাকিন, স্বেচ্ছা-সেবকলীগ সভাপতি নজনুল ইসলাম, জৈন্তাপুর উপজেলা যুবলীগ নেতা কুতুব উদ্দিন, যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, মুজিবুর ররহমান, সুভাস দাশ, গোলাম কিবরিয়া রাসেল, আফাজ উদ্দিন, রাজ্জাক আহমেদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোওয়ার, জাফলং পিয়াইন বার্তার সম্পাদক ইমরান হোসেন সুমন, নির্বাহী সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, উপজেলা ছাত্রলীগ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানি সুমন, সহ-সভাপতি আল-আমিন আরিয়ান প্রমুখ।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট