‘চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে সব দায় সরকারের’

প্রকাশিত: ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০১৮

‘চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে সব দায় সরকারের’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, কারাগারে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কোনো অবনতি হলে তার দায় বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকাস্থ ফেনী জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভায় বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘কারাগারে খালেদা জিয়া অসুস্থ, এটা সরকারই বলছে। এ কারণে তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি, আমাদের মহাসচিবকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দেশের মানুষ এ সরকারকে কখনো ক্ষমা করবে না। তাদের কঠোর জবাব দেবে।’

‘সরকার নিজেরাই বলছে, খালেদা জিয়া অসুস্থ; কিন্তু তার অসুস্থতা কী, তা আজও জাতিকে বা আমাদের দলকে জানানো হয়নি। তিনি এত দিন যেসব চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন, তাদের পরামর্শও নিতে দেওয়া হচ্ছে না। এসব সরকারের ষড়যন্ত্র।’

‘সরকার গঠিত মেডিকেল বোর্ড’ লোক দেখানো মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এসব সরকারের দুরভিসন্ধি ছাড়া আর কিছু নয়। আমাদের নতুন জেলকোডে আছে, কেউ অসুস্থ থাকলে তাকে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে সেবা দিতে হবে। কিন্তু বর্তমান সরকার খালেদা জিয়ার বেলায় সেটা মানছে না। তারা বলছে, মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে নতুন একজন ডাক্তার তাকে কী চিকিৎসা দেবেন। তিনি তো খালেদা জিয়ার আগের সমস্যাগুলো জানেন না।’

‘সরকার বিএনপির চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় সব করবে’—আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এ বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘খালেদা জিয়া যাঁদের দিয়ে গত ২০ বছর চিকিৎসা করিয়েছেন, তাদের দিয়ে চিকিৎসা করার সুযোগ দিন। তাহলে বুঝব আপনাদের কথায় ও কাজে মিল আছে।’

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আসলে খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে নির্জন কারাগারে পাঠিয়েছে সরকার। যখন একজন মানুষকে নির্জন কোথাও রাখা হয় তার মানসিক অবস্থা কী হয়, সবাই জানে। খালেদা জিয়া মানসিকভাবে অনেক শক্ত, কিন্তু তারপরও তাঁর বয়স ৭৩ বছর সেটা মনে রাখতে হবে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ সরকারের যেমন সময় কম, আমাদেরও সময় কম। তাই প্রস্তুত হতে হবে, কারণ একদিনে হুট করে কোনো আন্দোলন সফল হয় না।’

ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম রানার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাবেক সাংসদ রেহানা আক্তার রানু প্রমুখ।