ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতি ড. জাফর ইকবালের কৃতজ্ঞতা

প্রকাশিত: ১২:২০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০১৮

ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতি ড. জাফর ইকবালের কৃতজ্ঞতা

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তাকে সুচিকিৎসা প্রদানের জন্য তিনি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

গত ৩ মার্চ বিকেলে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সফল অস্ত্রোপচার ও তাঁর প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের আন্তরিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই হাসপাতালে সস্ত্রীক ছুটে আসেন বিশিষ্ট এ শিক্ষাবিদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জনপ্রিয় এ লেখক হাসপাতালে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: এ কে মাহবুবুল হক।

এরপর হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ ও চা-চক্রে মিলিত হন জাফর ইকবাল। এসময় তিনি ওসমানী হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রশংসা করে বলেন, সিএমএইচের চিকিৎসকরাও ওসমানী হাসপাতালের নিউরো সার্জনদের নিখুঁত অস্ত্রোপচারের প্রশংসা করেছেন ।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে সেদিনের তাৎক্ষনিক চিকিৎসা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন নিউরো সার্জারী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তৌফিক এলাহী, এনেসথেশিয়া বিভাগের প্রধান সব্যসাচী রায়, হাসপাতালের উপ-পরিচালক দেবপদ রায়, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এমএ আজিজ, সহকারী পরিচালক (অর্থ) আলাউদ্দিন আহমদ, সার্জারী বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক অরুণ কুমার বৈষ্ণব, এনেসথেশিয়া বিভাগের চিকিৎসক রিচার্ড ডি কস্টা, নিউরো সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক মিছবাহ উদ্দিন অপু।

উপস্থিত ছিলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ড. জাফর ইকবালের স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক, ওসমানী হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল মালেক খান, পরিচালকের পিএ মো. রুহুল আমিন, নার্সিং তত্ত্বাবধায়ক শিউলি আক্তার, নার্সিং কর্মকর্তা পরিমল বণিক, নার্সিং কর্মকর্তা ইসরাইল আলী ও অরবিন্দু দাস।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ বিকেলে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর মাথা, হাত ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে ফয়জুল হাসান নামে এক তরুণ। হামলায় গুরুতর আহত ড. জাফর ইকবাল হনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে এয়ার-অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। ওই সময় হামলাকারীকে ধরে গণধোলাই দিয়ে র‌্যাবের হাতে সোর্পদ করেন শাবি শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘ ১১ দিন সেখানে চিকিৎসা নেয়ার পর গত ১৪ মার্চ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে সরাসরি প্রিয় ক্যাম্পাস শাবিতে ফেরেন জাফর ইকআাল।

এর একদিন পর চিকিৎসকদের পরামর্শে অধ্যাপক জাফর ইকবাল দীর্ঘদিন ঢাকায় বিশ্রামে ছিলেন। গত ২ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরেন তিনি।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট