২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার রবিবার জামিন হয়নি।
জামিনের আবেদনের ওপর শুনানির পর হাইকোর্ট বলেছে, বিচারিক আদালত থেকে রায়ের নথিপত্র পাওয়ার পর তারা সিদ্ধান্ত দেবেন। খবর-বিবিসি
আদালতের কাছে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপক্ষকে ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে গত ৮ই ফ্রেবুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। সোমবার ঐ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে এবং তার জামিনের পক্ষে হাইকোর্টে আপীল করেন মিসেস জিয়ার আইনজীবীরা।বিকেলের দিকে ৪৫ মিনিটের মত শুনানির পর বিচারপতি এনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি শহিদুল করিম তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর হাইকোর্ট চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শতাধিক বিএনপি পন্থী আইনজীবী।
এজলাসে বিশৃঙ্খলা
হাইকোর্ট চত্বর থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, শুনানি শুরু হওয়ার আগে আদালতের এজলাস কক্ষে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পন্থী কয়েকশ আইনজীবী ভিড় করে।
এজলাসে ঢুকে বিচারকরা এত মানুষ দেখে চরম বিরক্তি প্রকাশ করে এজলাস থেকে বেরিয়ে যান। এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বিএনপি পন্থী অনেক আইনজীবীকে এজলাস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন।
মিনিট পনের পর এজলাসে ফিরে বিচারপতি এনায়েতুর রহিম আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন – ‘এভাবে চাপ সৃষ্টি করে কাজ হয়না’।
যুক্তিতর্ক
খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বয়সের কারণে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রয়োজনের যুক্তি তুলে ধরার পাশাপাশি বলেন- তিন বারের মত নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রী জামিন পাওয়ার যোগ্য।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে জামিনের আবেদন চ্যালেঞ্জ করে বলেন – বাংলাদেশের ইতিহাসে এতিমের টাকা তছরুপের নজির এটাই প্রথম।
মাহবুবে আলম তার বক্তব্যে দুর্নীতির মামলায় জেনারেল এরশাদের এবং ভারতের সিনিয়র রাজনীতিবিদ লালু প্রসাদ যাদবের কারাদণ্ড হওয়ার নজির উপস্থাপন করেন।
এছাড়া রবিবার বিকাল পৌনে চারটায় শুনানির পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। এর আগে বয়স-অসুস্থতা-সামাজিক মর্যাদা বিবেচনায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের আর্জি জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধিতা করেছেন।
এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। একইসঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে বিচারিক আদালতে নথি তলব করেন। এ নথি ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠাতে হবে। সেদিন জামিন আবেদনের শুনানির জন্য রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিন ঠিক করেন আদালত।
জামিনের জন্য খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ৩২টি যুক্তি দেখিয়েছেন। যুক্তিতে বলা হয়, আবেদনকারীর বয়স ৭৩ বছর। তিনি শারীরিকভাবে বিভিন্ন জাটিলতায় ভুগছেন। তিনি ৩০ বছর ধরে গেঁটে বাত, ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিক, ১০ বছর ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে আয়রণ স্বল্পতায় ভুগছেন।
তাছাড়া ১৯৯৭ সালে তার বাম হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং ডান পায়ের হাঁটু ২০০২ সালে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। শারীরিক এসব জাটিলতার কারণ বিবেচনায় নিয়ে তার জামিন মঞ্জুরের সবিনয় আবেদন জানানো হয়।
এর আগে তবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, প্রত্যেক যুক্তির বিরুদ্ধে আদালতে জবাব দেওয়া হবে।
২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল দায়ের করেন। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ঢাকার বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত আদালতের বিশেষ জজ ৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ডের রায় দেন। একইসঙ্গে দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায় ঘোষণার ১১দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি (অনুলিপি) হাতে পান। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে পুরোনো ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D