নাঈমুল ইসলামের বিরুদ্ধে জোবাইদার লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশিত: ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮

নাঈমুল ইসলামের বিরুদ্ধে জোবাইদার লিগ্যাল নোটিশ

‘লন্ডনে অবস্থান করা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং কন্যা জামিমা রহমানের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব চেয়ে দরখাস্ত করেছেন’ মর্মে সংবাদ প্রকাশ করায় আমাদের সময় ডট কম পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান।

বৃহস্পতিবার জোবাইদা রহমানের পক্ষে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ লিগ্যাল পাঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান।

তিনি জানান, সম্পতি আমাদের সময় ডট কমের পত্রিকায় তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং কন্যা জামিমা রহমানকে নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। যা মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।

ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান আরও বলেন, ডাক, রেজেস্ট্রি ও এসএ পরিবহনের মাধ্যমে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ক্ষমা ও দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদটি মিথ্যা মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ‘তারেকের স্ত্রী, কন্যার ব্রিটিশ নাগরিকত্বের আবেদন চেয়ে দরখাস্ত’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকাটি। বলা হয়, ‘তারেক রহমান তার পরামর্শক আইনি প্রতিষ্ঠান বার্জেস এর মাধ্যমে নিজের এবং স্ত্রী-কন্যার জন্য আলাদা দরখাস্ত করিয়েছেন। তবে তারেক রহমান ব্রিটিশ নাগরিকত্ব চেয়ে কোনো দরখাস্ত করেছেন কি না, এ ব্যাপারে জানায়নি।’

এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী এবং কন্যা নিয়ে আমাদের সময় ডটকম এ মঙ্গলবার প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে দলটি। ‘তারেকের স্ত্রী, কন্যা, ব্রিট্রিশ নাগরিকত্বের আবেদন চেয়ে দরখাস্ত’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদটি একেবারেই হীন উদ্দেশ্যে এবং জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কলঙ্ক লেপনের ভয়াবহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মাস্টার প্ল্যানের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার বিকেলে বিএনপির কেন্দীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ভারতের অনলাইন পত্রিকাটিতে এই সমস্ত অবান্তর, মনগড়া ও অসত্য তথ্য দিয়ে ঠাসা প্রকাশিত সংবাদটি বাংলাদেশের আমাদের সময় ডটকম এ ফলাও করে প্রচার করায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সমূলে ধ্বংস করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যে চক্রান্ত চলছে এটি তার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে এটি একটি সংঘবদ্ধ অপপ্রচার। অন্য দেশের একটি অনলাইনে প্রকাশিত নোংরা অপপ্রচারের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলাদেশে পরিচিত ও প্রচারিত অনলাইন পত্রিকায় সংবাদটি ছাপানো দুরভিসন্ধিমূলক। বিদেশী পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি যাচাই-বাছাই না করে বাংলাদেশের অনলাইন পত্রিকাটিতে সেটির উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা জনগণ ও পত্রিকার পাঠকের প্রতি চরম অবজ্ঞা।

রিজভী বলেন, আমাদের সময় ডটকম এ বিদেশী অনলাইনের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান তার পরিবারের প্রতি যে কুৎসা, মিথ্যা ও ব্যক্তিগত চরিত্র হরণের বেপরোয়া ন্যাক্কারজনক অপপ্রচার চালানো হয়েছে আমি দলের পক্ষ থেকে দ্বিধাহীন কন্ঠে তীব্র নিন্দা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচারক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছেন সেখানে বিচারকের নিরপেক্ষতা সম্পর্কে আমাদের পূর্বের বক্তব্যগুলিরই সত্যতা সুপ্রমানিত হয়েছে। দূর্ভাগ্যের বিষয় বিচারক মহোদয় দেশনেত্রী বেগম জিয়ার বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করেছেন কেবলমাত্র সরকার প্রধানকে সন্তুষ্ট করার জন্য। নিজের চাকরির পদোন্নতির জন্যই তিনি বেগম জিয়ার বক্তব্যকে বিকৃত করে তার রায় লিখেছেন বলে জনগণ মনে করে। ন্যায় বিচারকে পদদলিত করে বিচারক ড. আক্তারুজ্জামান যে কুৎসিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সেজন্য তিনি ইতিহাসে কলঙ্কিত ব্যক্তি হয়ে থাকবেন।

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনার জমানায় ইনসাফ যে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে তা এই ড. আক্তারুজ্জামানদের কারণে। বিচারক ড. আক্তারুজ্জামান জুডিসিয়াল ফ্রড করেছেন। এই বিচারক শিক্ষা ও পেশার সঙ্গে প্রতারনা করেছেন। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ ও জনগণের সাজা থেকে এরা রেহাই পাবে না। পক্ষপাতদুষ্ট এই বিচারকরা সরকারের অনুগ্রহভাজন হওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকায় এই ভোটারবিহীন সরকার গণতন্ত্রকে ধুলোয় লুটিয়ে দেশে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, হিংসা ও গুম-খুনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।