১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:০৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৮
গত ১ জানুয়ারি ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে খুন হওয়া ছাত্রদল নেতা আবুল হাসনাত শিমুর হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখে খুনিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন ছাত্রদল নেতা দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকির ও কাজী মেরাজের পরিবার। একইসাথে শিমু হত্যা মামলা থেকে জাকির-মেরাজসহ ‘নিরপরাধ নেতাকর্মীদের’ অব্যাহতি প্রদানের জন্য প্রশাসন ও শিমুর পরিবারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
শনিবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকির ও কাজী মেরাজের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকিরের ছোট ভাই দেওয়ান তারেক চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন দেওয়ান জাকিরের পরিবার ও কাজী মেরাজের মা-বাবা সহ পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘গত ১ জানুয়ারি নগরীর কোর্ট পয়েন্টে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালি চলাকালে কতিপয় দুর্বৃত্তের হাতে নৃশসংভাবে খুন হন ছাত্রদল নেতা আবুল হাসনাত শিমু। যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বেদনাদায়ক। কোন অবস্থাতেই কারো অস্বাভাবিক মৃত্যু আমরা কামনা করি না। কিন্তু এই শিমু হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আমার বড় ভাই দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকির এবং তাঁর বন্ধু কাজী মেরাজসহ নিরপরাধ নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় এ নিয়ে নানা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ছাত্রনেতা খুন হলো, কেউ খুনীকে দেখতে পেল না। আবার এই মামলার আসামী হলো নিহত ছাত্রদল নেতা শিমুর খুব শ্রদ্ধাভাজন ও প্রিয় ভাইয়েরা। যা খুবই দুঃখজনক।’
‘আমি দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি, এই হত্যাকান্ডে আমার ভাই দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকির ও তাঁর বন্ধু কাজী মেরাজ কোন অবস্থাতেই জড়িত নয়। এ ব্যাপারে নগরীর ব্যস্ততম এলাকা বন্দরবাজার এলাকায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মিছিলে উপস্থিত থাকা দলীয় নেতাকর্মীদের মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ একটি বড় স্বাক্ষী বা প্রমাণ হিসেবে নেয়া যেতে পারে।’
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ‘সেদিন মিছিলটি নগরীর রেজিস্টারি মাঠ থেকে শুরু হয়ে বন্দরাবাজার কোর্ট পয়েন্টে হয়ে চৌহাট্টা যাওয়ার কথা ছিল। সিলেটে বিএনপি কিংবা অঙ্গসংগঠনের কোন মিছিল হলে ব্যানারের সামনে শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ থাকেন। আর মূল মিছিলের ব্যানারের পূর্বে সামনে আরো দু একটি খন্ড মিছিল থাকতে দেখা যায়। সেদিনও এর ব্যতিক্রম হয়নি। মিছিলে আমার বড় ভাই দেওয়ান জাকির এবং তাঁর বন্ধু কাজী মেরাজ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে মূল ব্যানারের সামনে অবস্থান করেন নগরীর সিটি পয়েন্টে। আর শিমু খুন হন কোর্ট পয়েন্টে। সেদিন উপস্থিত বিএনপি এবং ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এই বিষয়ে অবগত আছেন। সুতরাং এতটা দূরত্ব থেকে কিভাবে তারা শিমুকে হত্যা করতে পারেন? এই প্রশ্ন আপনাদের কাছে রাখছি।’
‘শিমু হত্যাকান্ডের পরপরই বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ শিমুর পরিবারকে বলেছিলেন যে ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃতি খুনীদের চিহ্নিত করে মামলার আসামী করতে। কিন্ত শিমু হত্যা মামলায় তাদের পরিবারের কাউকে বাদী না বানিয়ে নিজ দলের প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে মাঠ থেকে দূরে রাখতে কতিপয় ছাত্রনেতা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিমুর মামাকে বাদী করেছেন। আর কোন স্বাক্ষী প্রমাণ ছাড়াই নিজ দলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের ষড়যন্ত্র করছেন। আমরা এসব ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। জাতির নিকট সত্য প্রকাশিত হোক সাংবাদিক ভাইদের নিকট সেই প্রত্যাশা রাখছি।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ছাত্রদল নেতাকে খুন করা হলো। কেউ খুনীকে চিনতে পারল না। আবার মামলার আসামী হলেন তারাই, যাদেরকে প্রয়াত শিমু নিজের বড় ভাইয়ের মত শ্রদ্ধা করতো। শিমুর সাথে দেওয়ান জাকির এবং কাজী মেরাজের কোন পূর্ব শত্রুতার লেশমাত্র ছিল না। বরং শিমুর সাথে তাদের সম্পর্ক ছিল খুব ঘনিষ্ট। কিন্তু তাদের উপর কেন শিমু হত্যার দায় পড়বে? এর জবাব আমরা আজো পাইনি। স্বামীর অবর্তমানে তাঁর স্ত্রী সন্তান এবং আমার পরিবার আজ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। কাজী মেরাজের মা ও তাঁর পরিবার আজ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। আমাদের জোর দাবী হচ্ছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ছাত্রদল নেতা শিমুর প্রকৃত খুনীদের খুঁজে বের করা হোক। আমার ভাই দেওয়ান জাকির এবং তার বন্ধু কাজী মেরাজসহ নিরপরাধ মানুষদের মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D