বিএনপি নেতা হেলালসহ ৩২ জন রিমান্ডে

প্রকাশিত: ৯:৫৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৮

বিএনপি নেতা হেলালসহ ৩২ জন রিমান্ডে

বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ ৩২ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদের মধ্যে ৩১ জনের পাঁচদিন, একজনের একদিন এবং দুই জনের রিমান্ড নামঞ্জুরের আদেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহা. আহসান হাবীব রিমান্ডের আদেশ দেন। আসামিদের মধ্যে মহিলা দলের নেত্রী লুৎফুর নাহার লাভলী এবং জুনু বেগমের রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। আর মজিবুর রহমান নামে এক আসামির একদিনের রিমান্ড দেন আদালত। অপর ৩১ আসামির ৫দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

হেলাল ছাড়াও রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রাক্তন সভাপতি হাসান মামুন, প্রাক্তন বন ও পরিবেশমন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ছেলে শান্তুনু ইসলাম সুমিত, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামের পিএস ফারুকুল ইসলাম সেলিম, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদল নেতা হাফিজ আল মাহমুদ প্রমুখ।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম খাঁন রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ৩৪ জনের দশদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মিরাশ উদ্দিন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, আজিজুল বারী হেলাল সংঘর্ষের ঘটনার নায়ক। তিনি বহুবার গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং জামিন নিয়েছেন। আর যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা ভাঙচুর, লুটপাট, ছিনতাই করেছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের রিমান্ডে নিলে অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করা যাবে। এজন্য এদের দশদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।

আসামিপক্ষে সানাইল্লাহ মিয়া, মোসলে উদ্দিন জসিম প্রমুখ আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের শুনানি করেন। তারা বলেন, গ্রেপ্তার হেলাল দিল্লি থাকলেও মামলায় তার আছে। খালেদা জিয়া তাকে দিয়ে নির্বাচন করার সবুজ সংকেত দিয়েছেন। এজন্য তিনি এখন এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ৩ তারিখ বিএনপির মিটিং এর জন্য তিনি ঢাকায় এসেছেন। আর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আর এখানে যে আসামিদের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে তাদের চুরির কথা বলে চরিত্র হরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তারা বলেন, নেত্রী আদালতে হাজিরা দিতে যান। সেখানে নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিতে পারে। এজন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। বিএনপির পদ থাকায় হেলালসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা তাদের রিমান্ড নামঞ্জুরের প্রার্থনা করছি। আর জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।

এদিকে বুধবার রাতে আজিজুল বারী হেলালসহ ছয়জনকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা আটক করেছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসা থেকে হেলালসহ ছয়জনকে আটক করা হয়। আজিজুল বারী হেলালের বাসা মগবাজারে। আটক বাকি পাঁচজন ছাত্রদলের নেতাকর্মী।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক মুন্না জানিয়েছেন, রাত ৮টার দিকে আজিজুল বারী হেলালকে আটক করে ডিবির একটি দল। এ সময় সেখান থেকে ছাত্রদলের আরো পাঁচ নেতাকর্মীকেও আটক করা হয়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে আটক করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে। একই সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে তাঁর শান্তিনগরের বাসা থেকে আটক করা হয়।

আজিজুল বারী হেলাল ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। এর আগে তিনি ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।