গণতন্ত্র হত্যা দিবসে সিলেটে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল

প্রকাশিত: ১০:২৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০১৮

গণতন্ত্র হত্যা দিবসে সিলেটে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল

সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন- অবৈধ আওয়ামী বাকশালী সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। কথিত ৫ জানুয়ারীর ভোটারবিহীন নির্বাচন দিয়ে তারা দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ইতিহাসে কলংকের কালেমা লেপন করেছে। দেশপ্রেমিক জনতা তাদের সেই পাতানো নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিতর্কিত নির্বাচন দিয়ে আওয়ামীলীগ বিশ্ব বাসীর কাছে তাদের অভিশপ্ত বাকশালী শাসন ব্যবস্থার স্বরুপ উন্মোচিত করেছে। তারা বুঝতে পেরেছে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের কোনদিনই ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন পুরন হবেনা। আর এই ভয়েই অবৈধ সরকার আবারো পাতানো নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামীলীগকে আর কোন ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পুনরাবৃত্তির সুযোগ দেয়া হবেনা। আপোষহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং বিএনপিকে মাইনাস করে দেশে যে কোন নির্বাচন কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
শুক্রবার বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচীর অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারীর কলংকিত গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীতে অনুষ্ঠিত কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীমের সভাপতিত্বে, জেলার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল ও মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় নগরীর ঐতিহাসিক রেজিষ্টারী মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে সহ¯্রাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে কালো পতাকা হাতে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান পয়েন্ট পদক্ষিণ শেষে চৌহাট্রাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেন- ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ক্ষমতাসীন অবৈধ বাকশালী সরকার দেশের রাজনীতির ইতিহাসে কলংকের কালেমা লেপন করেছে। তারা প্রহসনের ভোটারবিহীন নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জাতি গণতন্ত্র হত্যাকারীদের কোন দিন ক্ষমা করবেনা। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যাকারীদের সকল ষড়যন্ত্রের সমুচিত জবাব দিতে দেশপ্রেমিক জনতা প্রস্তুত রয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম বলেন- আওয়ামী বাকশালীদের ৫ জানুয়ারীর কথিত নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে দেশপ্রেমিক জনতা প্রমাণ করেছে বিএনপির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। সেদিন ভোটকেন্দ্রে ভোটার না গেলেও অন্যকিছুর উপস্থিতি জাতিকে মর্মাহত ও লজ্জিত করেছে। এজন্য আওয়ামী বাকশালীদের ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। দেশে আর কোন প্রহসনের নির্বাচন দেয়ার আওয়ামী খায়েশ পুরন হতে দেয়া হবেনা। বাকশালীদের সকল ধরনের ষড়যন্ত্র নস্যাত করতে শহীদ জিয়ার সৈনিকদেরকে অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করতে হবে।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন- আওয়ামীলীগ কোনদিনই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনা। তাদের ইতিহাস গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস তাদের ইতিহাস বাকশালের অভিশপ্ত ইতিহাস। ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন দিয়ে আওয়ামীলীগ প্রমাণ করেছে তারা সুষ্টু ভোটে কোনদিনই ক্ষমতায় যেতে পারবেনা। অবৈধ আওয়ামী বাকশালীরা পুনরায় পাতানো নির্বাচনের ফন্দি করছে। কিন্ত তাদের সে ফন্দি জনগণ কখনো সফল হতে দিবেনা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও কালো পতাকা মিছিলে অংশ নেন- বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাবেক আহŸায়ক এডভোকেট নুরুল হক, মহানগর সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, জেলার সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির শাহীন, সালেহ আহমদ খসরু, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা সহ-সভাপতি একেএম তারেক কালাম, হাজী শাহাব উদ্দিন, লুৎফুল হক খোকন, মহানগর উপদেষ্ঠা সৈয়দ বাবুল হোসেন ও সাইদুর রহমান বুদুরি, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দীকি, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন বাচ্চু, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল মোর্শেদ, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, মহানগর দফতর সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, জেলা দফতর সম্পাদক এডভোকেট মো: ফখরুল হক, জেলা প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, মহানগর প্রকাশনা সম্পাদক জাকির হোসেন মজুমদার, জেলা শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সুরমান আলী, মহানগর শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ মিয়া, মহানগর ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক এৎাহারুল হক মন্টু, পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক আব্দুল জব্বার তুতু, স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক হাবিব আহমদ চৌধুরী শিলু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: আশরাফ আলী, জেলা স্বাস্থ্য সম্পাদক আ ফ ম কামাল, মহানগর পরিবার কল্যান সম্পাদক লল্লিক আহমদ চৌধুরী, মানবাধিকার সম্পাদক মুফতী নেহাল উদ্দিন, সহ-কোষাধ্যক্ষ শেখ মো: ইলিয়াস আলী, জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, মহানগর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু, জেলা সহ-দফতর সম্পাদক দিদার ইবনে তাহের লস্কর, সহ-প্রচার সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে হেলাল আহমদ, আমিনুর রহমান খোকন, আব্দুল লতিফ খান, ডা: আব্দুল হক, এনামুল হক মাক্কু, শরীফ উদ্দিন মেহেদী, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, নজির হোসেন, উজ্জল রঞ্জন চন্দ, কয়েস আহমদ সাগর, আব্দুস ছবুর, মোতাহির আলী মাখন, অধ্যাপক মঈনুদ্দিন, এম মখলিছ খান, সাব্বির আহমদ, জসিম উদ্দীন, শেখ কবির আহমদ, সিরাজ খান, চৌধুরী মোহাম্মদ সোহেল, কাজী নঈমুল ইসলাম, আব্দুস সোবহান, আলমগীর হোসেন, বাবর আহমদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন সামুন, আলী হোসেন মুক্তার, আরিফ হোসেন, জিয়াউল হক, আজির উদ্দিন আহমদ, আব্দুল হান্নান, আব্দুল মন্নান, দেলোয়ার হোসেন রানা, রিহাদুল হাসান রুহেল, এম. এ রহিম, হাজী গোলজার আহমদ, জসিম আহমদ, খায়ের আহমদ, বদরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে মুহিবুর রহমান মুহিব, আব্দুল খালিক, দেলোয়ার হোসেন, মহিম আহমদ, রহিম আহমদ, সোহেল মাহমুদ, মির্জা স¤্রাট, ফখরুল ইসলাম রুমেল, মলয় রায় ধর, আব্দুল হান্নান, সাদেক আহমদ, কায়সান মাহমুদ সুমন, সোহেল ইবনে রাজা, সাফায়েত হোসেন সামছু, শেখ দিপু, এনামুল হক, আব্দুর রহিম মতছির, তোফায়েল আহমদ, আব্দুস সালাম টিপু, কৃষ্ণ ঘোষ, ফজলে রাব্বী তাহসান, রেজাউল ইসলাম সুমন, মিনার হোসেন লিটন, আশফাক আহমদ, আলী আকবর রাজন, দুলাল রেজা, আনোয়ার হোসেন সুজন, আবু মোতাকাব্বির চৌধুরী সাকী, ফরিদ রেজা, জুনেল আহমদ, আব্দুর রহমান, খোকন ইসলাম, জবিউল আহমদ জগলু ও ডা: এ এম সাঈদ সুমিত প্রমুখ।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির কালো পতাকা মিছিল

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ৫ জানুয়ারির গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে এক কালো পতাকা বিক্ষোভ মিছিল শুক্রবার সকালে ক্বীনব্রীজের মোড় থেকে বের হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সুরমা পয়েন্টে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদের পরিচালনায় সমাবেশে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল লতিফ খান, বিএনপি নেতা এনামুল হক মাক্কু, আজির উদ্দিন আহমদ, সাহেদুল ইসলাম বাচ্চু, আব্দুর রহিম, আব্দুল মান্নান, হাজী গুলজার আহমদ, নজরুল ইসলাম তুরন, রুহেল আহমদ কালাম, আনোয়ারুল ইসলাম, ফয়েজ আহমদ বেলাল, আজমল হোসেন, আব্দুল মুকিত, শহীদ রেজা মেম্বার, আশরাফ উদ্দিন আশরাফ, দিলওয়ার হোসেন, জুমায়েল আহমদ জুমেল, লিটন আহমদ, মুহিম আহমদ, আক্কাস আহমদ, ছাত্রদল নেতা ফখরুল ইসলাম রুমেল, এম.এ মন্নান, সাদেক আহমদ, এনামুল হক, সুহেল ইবনে রাজা, মিনার হোসেন লিটন, শাহ টিপু সুলতান, হুমাউন রশিদ, আবু রায়হান রাজু, আবু বকর সিদ্দিক, এডভোকেট রাজন আহমদ, জাকির হোসেন, নিজাম আহমদ, সেলিম আহমদ আসিফ, সামসুদ্দিন শুভ, জামিল আহমদ জমির, ওরিউর রহমান ফেরদৌস, রাজ খান ইমন, আহবাবুর রহমান, ফাহিম আহমদ রাহেল আহমদ চৌধুরী, তেতলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি খালেদুল ইসলাম মনি, সিনিয়র সহ সভাপতি মিজানুর রহমান রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, ১ম যুগ্ম সম্পাদক মুহিত আহমদ সুন্নাহ, সহ সাধারণ সম্পাদক সোহাগ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিলাল উল্লাহ, প্রচার সম্পাদক জাকির হোসাইন, সামীম আহমদ মাসুম, তানবির খান সজিব, এনামুল হক, কাউছার হামিদ, জুয়েল খান, সাবিব খান, তারেকুর রহমান, রাজু আহমদ, সুজন আহমদ, বাবুল আহমদ প্রমুখ। সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ মিছিল সহকারে রেজিস্ট্রার মাঠে জেলা বিএনপির কালো পতাকা বিক্ষোভ মিছিলে যোগদান করেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট