২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০১৮
গত আট দিন ধরে চলা এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দেলনে শিক্ষামন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পেয়ে ক্ষুদ্ধ শিক্ষকরা রাজপথ ছাড়ছে না । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন কর্তৃক সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে যাবেন না বলে জানিয়েছেন অনশনরত শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষা সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানরত শিক্ষকদের কাছে যান শিক্ষামন্ত্রী। এসময় তিনি তাদের দাবি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষকদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
অনশনরত শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্দেলনরত শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের সময়ই উত্তপ্ত হয়ে উঠে অনশনস্থল। ‘না’ ‘না’ স্লোগানে শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্য প্রত্যাখান করেন অনশনরত শিক্ষকরা।
প্রসঙ্গত, টানা পাঁচ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর গত তিনদিন ধরে টানা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন নন-এমপিও শিক্ষা-কর্মচারীরা। টানা তিন ধরে আমরণ অনশনে থাকায় অধিকাংশ শিক্ষক দুর্বল হয়ে পড়েছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাননি তারা।
এদিকে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অনশনরত ৩৩ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আন্দোলনকারী সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার, সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ রয়সহ ২০ জনের মত ব্যক্তিকে স্যালাইন দিতে দেখা গেছে।
নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, অনশন করায় ইতোমধ্যে ৩৩ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। যারা গুরুতর অসুস্থ হয়েছে, তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরকে এখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এমপিওভুক্তি, সহকারী শিক্ষকদের মতো বেতন, বাসা ভাড়া ও চিকিৎসা ব্যয় পাওয়াসহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড, ফেস্টুনে ‘মা ভাত দাও’, ‘মা এমপিও চাই’, ‘করুণা নয় নিজেদের অধিকার চাই’ লেখা এমন নানা শ্লোগানে সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওকরণের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, টানা আট দিন আন্দোলন চালিয়ে গেলেও আমাদের দিকে কেউ মুখ তুলে দেখছেন না। শিক্ষক-কর্মচারীরা নিজেদের অধিকার আদায়ে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সবাই অর্ধহারে-অনাহারে দিন পার করছেন। এতে অনেকে অসুস্থ হয়েও পড়ছেন। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, এমনিতেই গত আট দিন ধরে আমাদের খাওয়া-নাওয়া, ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এর মধ্যে আমরণ অনশন পালনে কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর মৃত্যু হলে তার দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।
এই শিক্ষক নেতা বলেন, মানুষ গড়ার হাতিয়ারদের এমন নাজুক অবস্থার পরও সরকার আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাই জীবন গেলে যাবে তবুও এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D