বঙ্গবন্ধুর লক্ষ অর্জিত হলে আ’লীগের ত্যাগী কর্মীদের জীবন সার্থক হবে

প্রকাশিত: ১০:০৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর লক্ষ অর্জিত হলে আ’লীগের ত্যাগী কর্মীদের জীবন সার্থক হবে

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেছেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল একটি সুখী সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল সোনার বাংলাদেশ বির্নিমাণ। কিন্তু তিনি সেপথে অগ্রসর হতে না হতেই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। দেশকে আবারও পেছনে নিতে শুরু হয় চক্রান্ত। তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে উন্নত দেশগড়ার কাজে মনোযোগ দেন। তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তী রাজনীতির দুঃসময়ে মনিরুল ইসলাম ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ অর্জিত হলে মনিরুল ইসলামের মতো আ’লীগের ত্যাগী কর্মীদের জীবন সার্থক হবে।

সোমবার দিনব্যাপী বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি প্রয়াত মনিরুল ইসলাম মিম্বই স্মরণ সভা ও ‘সারথি’ স্মারক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান ও আলীনগর ইউনিয়ন আ’লীগের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

মনিরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক ও বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মো. নজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ, বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুস শুকুর, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজি আব্দুল হাছিব মনিয়া, সহসভাপতি আলহাজ মো. নাজিম উদ্দিন।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, মনিরুল ইসলাম পায়ে হেঁটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রদের বুঝিয়ে দলের পতাকাতলে সমবেত করেছেন। এজন্য তাঁর নেতৃত্বাধীন কর্মীবাহিনীর প্রত্যেকেই আজ সমাজের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করছেন। তাঁরা নেতার আদর্শকে স্মরণে রাখতে ‘সারথি’ প্রকাশ করেছেন। যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। অনুষ্ঠানে স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে প্রয়াত মনিরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী।

মনিরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক নেতা খালেদ সাইফুদ্দিন জাফরীর পরিচালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে প্লাটুন কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মুছব্বির আলী, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি হোসেন আহমদ, কলেজের সাবেক ভিপি ও বড়লেখা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ দাশ নান্টু, কলেজের সাবেক জিএস হারুনুর রশীদ দিপু, সাবেক এজিএস সেলিম উদ্দিন, সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক কবির আহমদ খান, সিলেট ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের শিক্ষক আব্দুল মালিক, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সাত্তার, অরুণ চক্রবর্তী, ফকিরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধাময় ভট্টাচার্য্য, দাসউরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা ছায়ফুল আলম মাখন, বেলাল আহমদ প্রমুখ।

স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বাবুল ও মো. জাকির হোসেন, শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, গৌছ উদ্দিন খান খোকা, বিয়ানীবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ছাদেক আহমদ আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাছুম আহমদ, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের খ-কালিন প্রভাষক মো. জহির উদ্দিন, বিয়ানীবাজার উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজানুল ইসলাম লায়েক প্রমুখ।

এদিকে, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ যুবক এবং পৃথক সন্ত্রাসী হামলায় নিহত লিটু ও আনোয়ারের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে শিক্ষামন্ত্রী তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে যান। তিনি সমবেদনা জানান এবং তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট