শেখ হাসিনাকে নামানোর ক্ষমতা দ্বিতীয় কোনো দলের নেই : হানিফ

প্রকাশিত: ১:১৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০১৭

শেখ হাসিনাকে নামানোর ক্ষমতা দ্বিতীয় কোনো দলের নেই : হানিফ

কুমিল্লা : দেশের জনগণ যতদিন চাইবে, শেখ হাসিনা ততদিন ক্ষমতায় থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামানোর ক্ষমতা বাংলাদেশের দ্বিতীয় কোনো রাজনৈতিক দলের নেই।

বুধবার কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ এ কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ভূমিকার সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছেন তার একটি নজিরও কেউ দেখাতে পারবে না। কারণ তিনি ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট।

আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কাজী আবুল বাসারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম
বাহাউদ্দিন বাহার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক এবং আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।

সম্মেলন শেষে কুমিল্লায় ৩২ বছর পর আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের একটি কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। ৭১ সদস্যের ওই কমিটিতে কাজী আবুল বাসারকে সভাপতি ও তারিকুর রহমান জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

মওদুদ সাহেব পল্টিবাজ নেতা: হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনে মওদুদ আহমদ ডিগবাজির ওস্তাদ ও আজন্ম দুর্নীতিবাজ।’ মঙ্গলবার দুপুরে টিসিবি ভবনে নিজের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে এখন দুটি পথ খোলা আছে। হয় তিনি সম্মানজনকভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। না হয় তাকে অসম্মানজনকভাবে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে।’

মওদুদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য উস্কানিমূলক। এটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। আমি বিশ্বাস করি, তার এই বক্তব্যের সঙ্গে খোদ বিএনপির অনেক নেতা একমত নন। এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে মওদুদ আহমদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাক্ষাৎ বেশ আলোচিত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘এই সাক্ষাৎ কোনও রাজনৈতিক সংলাপের ইঙ্গিত বহন করে না। আমার সঙ্গেও অনেকবার মির্জা ফখরুলের দেখা হয়েছিল। আমরা একসঙ্গে কফিও খেয়েছি। এটা সামাজিক বন্ধন। রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তবে সামাজিক সম্পর্ক ভিন্ন বিষয়।’

মাহবুবউল আলম হানিফ আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সারের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বিভেদ ও বিভাজনের রাজনীতি শুরু হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে হত্যা করা হয়।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট