বিশ্বনাথে শিশু নির্যাতনকারীদের হাতে হয়রানীর শিকার অসহায় পরিবার

প্রকাশিত: ৭:৫৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৭

বিশ্বনাথে শিশু নির্যাতনকারীদের হাতে হয়রানীর শিকার অসহায় পরিবার

সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
সিলেটে বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া নোয়াগাঁও গ্রামে শিশু নির্যাতনকারীদের হাতে নানাভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন ওই শিশুর পরিবার। প্রতিবেশী শিশু নির্যাতনকারী ওই লোকদের রোষানলে পড়ে হামলা-মামলার বিপদগ্রস্থ হচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। শনিবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন গ্রামের তখলিছ আলীর ছেলে ও শিশু ফাহিমের পিতা আবুল হাছান। তিনি অভিযোগ করেন, গ্রামের সমছু মিয়া ও রহিমুল ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে তার ছেলেকে হত্যার চেষ্টা করেও তারা থেমে থাকেনি। উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়ারানী করছে।
লিখিত বক্তব্যে আবুল হাছান উল্লেখ করেন, বাড়ির সীমানা প্রাচীর নিয়ে প্রতিবেশী সমছু মিয়া ও রহিমুলের সঙ্গে বিরোধ চলছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে তারা তার শিশু সন্তান গত ৪ মে রেদুয়ান হোসেন ফাহিমকে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা করে। ওইদিন পোল্ট্রি ফার্মের কর্মচারি জকিগঞ্জ উপজেলার শাখারবাজারের সাহেদ আহমদের মাধ্যমে তারা বাড়ির বাউন্ডারির ভেতরে ফাহিমকে হত্যার চেষ্টা করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ফাহিমের হাতের চারটি আঙ্গুল জখম হয়। এ ঘটনায় মামলা করলে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন সমছু ও রহিমুল। থানায় মিথ্যা মামলা করতে না পেরে আদালতে সাজানো মামলা দিয়েছে। এমনকি জগন্নাথপুর থানার একটি ধর্ষণ মামলায়ও আসামী করা হয়েছে।
বক্তব্যে বলা হয়, আসামী সাহেদ গ্রেফতারের পর পুলিশকে জানায়, সমছু ও রহিমুলের সাথে ৫০ হাজার টাকা চুক্তি হয় ফাহিমকে হত্যার জন্য। গত ৫ জুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয় সাহেদ। মামলায় ইতোমধ্যে সাহেদ আহমদ, সামসু মিয়া ও রহিমুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন বিশ্বনাথ থানার এসআই কামরুল আহমেদ। সাহেদ এখন কারাগারে রয়েছে। সামছু ও রহিমুল উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসে। মামলার আসামি হওয়াতে সামসু মিয়া তার ছেলে হীরণ, তোরণ, সাইদ মিয়া ও রহিমুল তার ছেলে আসকার উদ্দিন, রেজা, মহিব উদ্দিন, ইমাদ উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিনিয়ত উৎপাত করছে বলে দাবি করেন হাছান।
তিনি আরও জানান, সামছু মিয়া ও রহিমুলের অতীত রেকর্ডও খারাপ। সামছু গরু চুরি করতেন। চুরিতে ধরা খেয়ে গ্রামের মানুষ মুছলেকা আদায় করে তাকে ছেড়েছে। আর রহিমুল গাঁজা ও মদ বিক্রি করতেন। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলাও ছিল। সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান আবুল হাছান। এ সময় ছেলে ফাহিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তৈয়ব আলী, তখলিছ আলী, নাজিম উদ্দিন, মাসুক মিয়া, মো. জাকারিয়া, আব্দুল আহাদ, নুর উদ্দিন ও ইসলাম খান। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট