রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক সমস্যা

প্রকাশিত: ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭

রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক সমস্যা

বিএনপির উদ্যোগে মিয়ানমারে গণহত্যা ও বাংলাদেশের ভূমিকা শীর্ষক গোলটেবিল ॥ উপস্থিত ছিলেন সুধীজন ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। এ ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যের কথাও বলেন তারা। সংকটের স্থায়ী সমাধান না হলে অদূর ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা, যা আমাদের দেশের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। রোহিঙ্গা নিয়ে শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়। এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সারা বিশ্বকে সোচ্চার হতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কূটনৈতিক কার্যক্রম বিশেষ করে চীন, রাশিয়া ও ভারতের মনোভাব পাল্টাতে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। নানাভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে, যাতে তারা রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিক মর্যাদা দেয়। পাশাপাশি বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুধাবন করে রাষ্ট্রের নিজস্ব শক্তি প্রদর্শনেরও আহ্বান জানান তারা। সেমিনারে বিএনপির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চারদফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘে সেইফ জোন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন দলটি। এটিকে ষড়যন্ত্রমূলক মনে করছেন তারা। : গতকাল রবিবার গুলশানে হোটেল লেকসোয় বিএনপির উদ্যোগে ‘মিয়ানমারের গণহত্যা ও বাংলাদেশের ভূমিকা’ এই গোল টেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, স্পেন, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকা, নেদারল্যান্ডের কূটনীতিকরা অংশ নেন। এছাড়া ইউএনডিপি ও ডেমোক্রেটিক ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিওরা ছিলেন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে পলিটিক্যাল অফিসার জেকব লেভিন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এই গোলটেবিল আলোচনায় ‘জেনোসাইডস ইন মিয়ানমার এন্ড দ্য রোল অব বাংলাদেশ’ প্রবন্ধের মাধ্যম রাখাইনের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম গণহত্যা পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরেন প্রবন্ধকার সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম। : স্বাগত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলা আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমরা মনে করি, এই বিপর্যয় বাংলাদেশে মানবিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি করবে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়ে একটি জাতিগোষ্ঠীকে নিধনে কাজ করছে। এর বিরুদ্ধে আজকে সমগ্র বিশ্ব ও বিশ্ব মানবতা সোচ্চার হয়েছে, আমরা ও বাংলাদেশের জনগণ সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু এই সংকট বিষয়ে বাংলাদেশে সরকারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তারা এখনো দ্বিধা-দ্বন্দ্বে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিলো তার অনুসরণ করে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি। অবশ্যই মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবে, তাদের নাগরিকত্ব দিয়ে সসম্মানে ফিরে নিতে হবে। : গোলটেবিল আলোচনা সভায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে গিয়ে সেফ জোন সম্পর্কে একটা কথা বলেছেন। এটাকে তিনি পরিষ্কার করেননি। এটা হবে আমাদের বাংলাদেশের জন্য এবং রোহিঙ্গাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, ভয়ংকর, বিপজ্জনক ও স্বার্থ বিরোধী। এই সেফ জোন কনসেপ্টকে সম্পূর্ণভাবে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা অনুরোধ জানাবো, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সেফ জোন সম্বন্ধে যেন আর কোনো ধরনের কথা-বার্তা না হয়। আমরা একে ষড়যন্ত্রমূলক শব্দ হিসেবে আখ্যায়িত করতে চাই। একই সঙ্গে দলের পক্ষ থেকে সংকট সমাধানে চার দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন খন্দকার মোশাররফ। : তিনি বলেন, ১. রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে (মিয়ানমার) প্রত্যাবর্তনের জন্যে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা ও সমাধানে পুনরায় জাতীয় ঐক্যসৃষ্টির আহবান করছি। ২. রোহিঙ্গারা যারা তাদের ভিটে মাটি ছেড়ে, সহায়-সম্বল ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকে শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। ৩. মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদেরকে সসম্মানে নাগরিকত্ব দিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে জাতিসংঘসহ সকলকে নিয়ে মিয়ানমার সরকারের ওপর যথাযথ কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে করে মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। ৪. বিএনপি সরকারের অভিজ্ঞতা অর্থাৎ ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান ও ১৯৯২ সালে বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে ‘রিপার্টিশন এগ্রিমেন্ট’-এর আলোকে রোহিঙ্গাদের বর্তমান সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা আহবান জানাচ্ছি। : বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ১৯৭৮, ’৯৩, ’০৫ সালেও এই সংকট দেখেছি। আন্তর্জাতিক চাপ দিয়ে বার্মিজ সরকারকে বোঝাতে হবে রোহিঙ্গারা যতই ক্ষুদ্র জাতিসত্তাই হোক না কেন তাদের নির্মূল করা যাবে না। এটা করা গেলে অনেকাংশে সংকট কমে যাবে। সেফ জোনের কথা বলে ছাড় দিলে চলবে না। : বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী যে সেফ জোনের কথা বলেছেন এটা একটা ফেলাসি। আমরা সবাই জানি সেফ জোন বসনিয়াতে কাজ করেনি, রুয়ান্ডায় কাজ করেনি, শ্রীলংকায় কাজ করেনি, ইরাকে কাজ করেনি। প্রধানমন্ত্রী কফি আনানের যে প্রতিবেদনের আলোকে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান চেয়েছেন তারও সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কফি আনান রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করেছেন কিনা আমার সন্দেহ হচ্ছে। যদি ব্রিফ করতো তাহলে প্রধানমন্ত্রী এই রিপোর্ট বাস্তবায়নের প্রস্তাব করতেন না। ওই রিপোর্টে কোথাও রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর কথাই লেখা নেই। এই অঞ্চলের বৃহৎ দেশগুলো রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী নিধনে মিয়ানমারের কর্মকান্ডকে সমর্থন দিয়ে ‘উগ্র জাতীয়বাদ’কে উস্কে দিচ্ছে। : নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, রোহিঙ্গার ক্রাইসিসটা বাড়ছে। মানিকগঞ্জে কয়েকজন রোহিঙ্গা ধরা পড়েছে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে তারা ছড়িয়ে গেছে। এই অবস্থায় সরকারকে বলতে হবে সকলকে ডাকো। আমি মনে করি, সংকটের সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় সরকার ও আন্তর্জাতিক ফোরামের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির পলিটিক্যাল প্রোগ্রাম নেয়া উচিত। : বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে চোখ রেখে নিজস্ব শক্তি প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল বলেন, সরকারকে বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অনুধাবন করে রাষ্ট্রের নিজস্ব শক্তি দেখাতে হবে। এজন্য মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে তা নয়। তবে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার বারবার আমার দেশের সীমারেখায় ঢুকে পড়বে আর কিছু বলবো না এটা হতে পারে না। হেলিকপ্টার ভূপাতিত না করলেও গুলি করতে হবে। বোঝাতে হবে আমাদের ক্ষমতা। সবকিছুতেই ভীত হয়ে নরম হলে সবাই পেয়ে বসবে। এখন রোহিঙ্গাদের পাঠানো হচ্ছে, পরবর্তীদের অবৈধ বাংলাদেশি অজুহাতে অন্য প্রতিবেশিরাও অনুপ্রবেশ ঘটাবে। : তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে কেউ নোবেল পুরস্কার পেলে সেটি ভালো কিন্তু সেটি সমস্যার সমাধান নয়। কিন্তু এই সরকার বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে দুর্বল করে ফেলছে। অতীতে রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তৎকালীন সরকারগুলো যে সফলতা দেখিয়েছে সেই অভিজ্ঞতা নিতে হবে। যদি মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চায় সেক্ষেত্রে তাদের অধিকার ফেরত পাইয়ে দিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। আজকে বৈশ্বিক রাজনীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে শত কান্নাকাটি করে কিছু হবে না, শক্তি দেখাতে হবে। : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ভারত ও চীনের অবস্থান বিষয়টিকে জটিল করে তুলছে। মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপের বিকল্প নেই। ভারত ও চীনকে অবশ্যই তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে। জাতিসংঘের সিকিউিরিটি কাউন্সিলকে ধন্যবাদ যে, তারা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে। : সংকট সমাধানে কফি আনানের সুপারিশ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই মন্তব্য করে সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহমুদ হাসান বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়ে অবশ্যই মিয়ানমার সরকারকে তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। : মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা একটা বৃহৎ ভয়াবহ সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে অবশ্যই সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে আমি প্রস্তাবাকারে বিএনপির কাছে অনুরোধ রাখতে চাই, রোহিঙ্গা ইস্যুর বিষয়টি নিয়ে আপনারা প্রয়োজনে সকলকে নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে জনমত সৃষ্টিতে কাজ করুন। রোহিঙ্গারা এদেশে দীর্ঘদিন অবস্থান করলে ভবিষ্যতে বিভিন্নœ অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেন মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট এলিনা খান। ৫ থেকে ১০ বছরের যে রোহিঙ্গা শিশু রয়েছে তাদের পুনর্বাসন করতে না পারলে তারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। যেহেতু তারা লেখাপড়ার সুযোগ পাবে না তারা যে কোনো ক্রাইমে জড়িয়ে পড়বে। কারণ তাদের বাবা-মাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক ধরনের প্রতিশোধ স্পৃহা রয়েছে। : অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি ডকুমেনটারী ফিল্ম ও পুস্তিকা করার পরামর্শ দেন এবং সব ভাষায় তা অনূদিত করতে বলেন। : সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহর সঞ্চালনায় গোল টেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. মাহবুবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য রিয়াজ রহমান, অধ্যাপক সুকোমল বড়–য়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নওশাদ জমির। নাগরিক প্রতিনিধিদের মধ্যে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব মোফাজ্জল করীম, খান মো. ইব্রাহিম, সাবেক রাষ্ট্রদূত ইফতেখারুল করীম, মাহমুদ হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাসান তালুকদার, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাইদুজ্জামান প্রমুখ রোহিঙ্গা পরিস্থিতির ওপর তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। : অনুষ্ঠানে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আবদুস সালাম, আবদুল হালিম, গোলাম আকবর খন্দকার, ইসমাইল জবিউল্লাহ, আবদুল কাইয়ুম, নাজমুল হক নান্নু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সদরুল আমিন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার উপস্থিত ছিলেন।