তৃণমূলের কর্মীরাই শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের ভ্যানগার্ড : মিসবাহ

প্রকাশিত: ১:৫০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০১৭

তৃণমূলের কর্মীরাই শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের ভ্যানগার্ড :  মিসবাহ

মিশিগান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুতালিবের সংবর্ধনা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেছেন, তৃণমূল কর্মীরাই শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের ভ্যানগার্ড। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে আন্তরিকভাবে যে কাজ করে যাচ্ছেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বিশ্বের নেতারা যে রোল মডেল হিসেবে গ্রহন করেছে তা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে। এজন্য প্রতিটি আওয়ামীলীগ কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে। তৃণমূলের কর্মীরাই শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের ভ্যানগার্ড। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই ছাত্রলীগ বাংলাদেশের ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে সৃষ্টিশীল কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্রলীগের কারনেই বাহান্নর ভাষা আন্দোলন হয়েছে, ঊনসত্তরের গণ অভ্যুন্থান হয়েছে, সত্তরের নির্বাচন হয়েছে, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিটি সাহসী কর্মীর পাশে আমি সবসময় ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো।
বাংলাদেশ তাঁতী লীগ সিলেট জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র মিশিগান স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মুতালিবের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। সিলেট বিভাগ তাঁতী লীগের প্রধান সমন্বয়কারী ও মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ বাদশা গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ও মহানগর সভাপতি, সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।
মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মিশিগান স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মুতালিব শহীদ পরিবারের সন্তান। সে বাংলাদেশে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে যুক্তরাষ্ট্রেও প্রবাসীদের সংগঠিত করছে। তার বড় ভাই অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলামও সুনামগঞ্জের মানুষের অধিকার আদায়ে অগ্রণী নেতা। এই পরিবার আওয়ামী লীগ, দেশ ও জাতিকে অনেক কিছু দিয়েছে। এরকম পরিবারের মূল্যায়ন হচ্ছে না, আমরা তাদের মূল্যায়ন করতে চাই।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, মুতালিব সিলেটের ছাত্রলীগের রাজনীতি করে যে শিক্ষা পেয়েছে, তা ছিলো মজবুত। এটাকে কাজে লাগিয়ে মিশিগান মাুনষের সাথে মিশে এমন সম্পর্ক গড়তে পেরেছিলেন বলেই তিনি সেখানকার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এই শহীদ পরিবারের সন্তানকে সংবর্ধিত করতে পেরে আনন্দিত।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র মিশিগান স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মুতালিব বলেন, আমি এমন সম্মান পেয়ে কৃতজ্ঞ। সিলেটে শত নির্যাতনের মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করে গেছি। দেহে যতদিন রক্ত আছে জয় বাংলার রাজনীতি করে যাবো।
মহানগর তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, দপ্তর সম্পাদক ও জেলা বারের অ্যাডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফছার আজিজ, সহসভাপতি জালাল আহমদ, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, সিলেট জেলা বারের এপিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান সেলিম।
আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক ছাত্রনেতা এনামুল হক লিলু, আঙ্গুর মিয়া, শরিফ তুহিন, ইঞ্জিনিয়ার মফিজুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ, তাঁতী লীগ নেতা আব্দুল মুমিন, কাজি হাকিম রাজা, আওয়ামী লীগ নেতা, আব্দুল মতিন, রবিউল ইসলাম মান্না, আহমদ চৌধুরী, বিজিত লাল দাস, আবু তালেব রেণু, রিপন মিয়া, কানু লাল দাস, চৌধুরী আল মামুন, আবু সালেহ, আক্কাস মিয়া, বেলায়েত হোসেন, আকলাস হোসেন, আতিক মিয়া প্রমুখ।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট