সংবিধানের আলোকেই সহায়ক সরকারের রুপরেখা দেবেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত: ৪:৪২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০১৭

সংবিধানের আলোকেই সহায়ক সরকারের রুপরেখা দেবেন খালেদা জিয়া

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে দেশের বৃহত্তম দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সংবিধানের ভিতরে থেকে নির্বাচন করতে চাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অন্যদিকে বিএনপি চাইছে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগামী ১০ জুলাইয়ের পর লন্ডন যচ্ছেন। সেখানে গিয়ে আরেক শীর্ষ নেতা দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের খসড়া রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করবেন। এরপর ঢাকায় ফিরে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আরেকবার বসেই সহায়ক সরকারের রূপরেখা চূড়ান্ত করবেন তিনি।

এ ব্যাপারে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। রমজান শেষ হয়েছে। দলের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনার পর রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। তার পরই তা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির সামনে পেশ করবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। দলের নীতিনির্ধারকদের নির্দেশনায় বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল সংবিধান বিশেষজ্ঞ, বুদ্ধিজীবী ও সরকারের সাবেক কয়েক কর্মকর্তা রূপরেখা প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত। গেল রমজানে তারা তাদের প্রণীত সহায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়ে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। সেই বৈঠকে খালেদা জিয়া তাদের আবার প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বেগম জিয়ার সেই নির্দেশনা অনুসারে সহায়ক সরকারের রূপরেখাতে পরিবর্তন-পরিবর্ধনও করেছেন তারা।

দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে হস্তক্ষেপমুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সহায়ক সরকারের রূপরেখাটি বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোতেই তৈরি করা হয়েছে।

দলের স্থায়ী কমিটির সিনিয়র এক সদস্য জানান, এই সহায়ক সরকার হবে তিন মাস মেয়াদের। রাষ্ট্রপতির অধীনে নির্বাচনকালীন এই সরকারের মন্ত্রিসভায় টেকনোক্রেট কোটায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সংস্থাপনসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব থাকতে পারে। রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের কাঠামো চূড়ান্ত করতে পারেন। ওই নেতা জানান, তখন সংসদ বহাল থাকবে। প্রধানমন্ত্রীও দায়িত্বে থাকবেন। এই রূপরেখায় নির্বাচনকালীন তিন মাস প্রধানমন্ত্রীর ছুটিতে থাকার প্রস্তাব থাকছে। যাতে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী স্বপদে বহাল থেকে ছুটিতে থাকার মাধ্যমে নির্বাচন প্রভাবিত না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হবে।

নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের কাঠামোতে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত নির্বাচনকালীন সরকারের কথাও বিবেচনায় রাখা হতে পারে। যে সরকারে সংসদের তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।