১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
ইন্টারনেটে ধীরগতির ভোগান্তির যেন কোনো মতেই থামছে না। এতে গ্রাহক অনেকটাই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। স্বাভাবিক কাজ করতেও তাদেরকে পোহাতে হচ্ছে ঝামেলা। তবে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, এ ভোগান্তি চলতি মাসজুড়েই চলতে পারে।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য অনুযায়ী, মেরামতের কাজ চলছে, তা শেষ না হওয়ায় বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটে ধীর গতির সমস্যায় ভুগতে হতে পারে পুরো জানুয়ারি মাসজুড়ে।
ইন্টারনেট গেইটওয়ে কোম্পানি ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির সাংবাদিকদের বলেন, জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে এর আগে আশা করা হলেও মেরামত কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় এ সমস্যা আরো কিছুদিন চলতে পারে।
বাংলাদেশের দৈনিক ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এই ৪০০ জিবিপিএসের মধ্যে ১২০ জিবিপিএস রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) মাধ্যমে আসে। বাকি ২৮০ জিবিপিএস আইটিসির ব্যান্ডউইথ, যা ভারত থেকে আমদানি করা হয়।
বাংলাদেশের ছয়টি আইটিসি অপারেটর প্রায় চার বছর ধরে প্রতিবেশী ভারত থেকে এই ব্যান্ডউইথ কিনে দেশে সরবরাহ করছে। এর বড় একটি অংশ টাটা ইনডিকম ও ভারতী এয়ারটেল দিচ্ছে বলে সুমন আহমেদ সাবির জানান।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিমও গ্রাহকদের সমস্যা নিয়ে একই কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ধীরগতি সমস্যা এ মাস পর্যন্ত চলবে।
আইএসপিএবি এর আগে বলেছিল, কেবল কাটা পড়ায় বাংলাদেশের গ্রাহকদের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ভুগতে হতে পরে।
২০১২ সালের আগে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংযোগের জন্য একটি মাত্র সাবমেরিন কেবলের ওপর নির্ভর করত। ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে আইটিসি অপারেটরগুলো কাজ শুরু করে।
এসব অপারেটর টেরেস্ট্রিয়াল অপটিক্যাল ফাইবার লাইনের মাধ্যমে ভারতীয় বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। কোনো কারণে সাবমেরিন কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এই বিকল্প ব্যবস্থায় তারা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে যুক্ত রাখতে পারে।
চলতি বছরই একটি কনসোর্টিয়ামের আওতায় সি-মি-ইউ-৫ নামের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইডথ পাবে বলে সরকার আশা করছে।
তবে চলতি এই ধীরগতির সমস্যা কবে নাগাদ শেষ তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। এরফলে গ্রাহকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D