রাবি শিক্ষিকার ‘সুইসাড নোটে’ যা লেখা

প্রকাশিত: ৪:১০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৬

রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবন থেকে আকতার জাহান নামের এক শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদেহের পাশে তার ল্যাপটপের নিচ থেকে একটি সুসাইড নোট পাওয়া গেছে। সুইসাইড নোটে যা লেখা রয়েছে ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। শারীরিক, মানসিক চাপের কারণে আত্মহত্যা করলাম। সোয়াদকে যেনো ওর বাবা কোনো ভাবেই নিজের হেফাজতে নিতে না পারে। যে বাবা সন্তানের গলায় ছুরি ধরতে পারে- সে যে কোনো সময় সন্তানকে মেরেও ফেলতে পারে বা মরতে বাধ্য করতে পারে। আমার মৃতদেহ ঢাকায় না নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেয়ার অনুরোধ করছি।’ ছবি: রাবি শিক্ষিকার সুইসাইড নোট শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জুবেরী ভবনের ৩০৩ নম্বর তার নিজ কক্ষ থেকে ওই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করে নগরীর মতিহার থানা পুলিশ। ওই কক্ষে এক থাকতেন আকতার জাহান। তিনি রাবির গণযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। আকতার জাহান গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক সভাপতি তানভীর আহমেদের প্রাক্তন স্ত্রী। বছর তিনেক আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে তার নাম সোয়াদ। রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি শাতিল সিরাজ বলেন, পুলিশের সহায়তায় ওই শিক্ষিকাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। রামেক হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক মাহিনুল ইসলাম জানান, সোয়া পাঁচটার দিকে ওই শিক্ষককে অচেতন অবস্থায় হাসপাতলে নেয়া হয়। তার অনেক আগেই তিনি মারা গেছেন। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয় বলে জানান ওই চিকিৎসক। অন্যদিকে, রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম বলেন, কক্ষের দরজা ভেঙে ওই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এটি আত্মহত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কোনো আলামত মেলেনি। তিনি আরো বলেন, রামেক হাসপাতালের হীম ঘরে নেয়া হয়েছে। তার স্বজনরা ঢাকায় থাকেন, তাদের খবর দেয়া হয়েছে। এনিয়ে পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এদিকে, জুবেরী ভবনের কর্মচারীরা জানান, কয়েক দিন থেকেই ওই শিক্ষক বাইরে বের হচ্ছিলেন না। স্বজনরা তাকে মুঠোফোনেও পাচ্ছিলেননা। শুক্রবার দুপুরে তার ছেলে অন্য শিক্ষকদের জানান। এরপর শিক্ষকরা জুবেরী ভবনে গিয়ে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান। এনিয়ে খবর দেয়া হয় নগরীর মতিহার থানা পুলিশকে। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বিভাগের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ওই শিক্ষককের অচেতন দেহ উদ্ধার করেন। ওই সময় মশারির ভেতর শোয়া অবস্থায় ছিলেন ওই শিক্ষক।