খালেদার জিয়ারও বিচার হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০১৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা ওই রাজাকারদের হাতে তুলে দিয়েছে খালেদা জিয়া। কাজেই যুদ্ধাপরাধী হিসাবে যাদের ফাঁসি হয়েছে, তাদের যে মন্ত্রী বানিয়েছিল, তার কী শাস্তি হবে? সেটাও দেশবাসী দেখতে চায়। সেটাও দেশবাসীকে ভাবতে হবে।’

মঙ্গলবার বিকালে ১৫ অগাস্ট শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আজকে দেশের মানুষের মধ্যে এই সচেতনতাই সৃষ্টি করতে হবে যে, ওই জিয়া আর খালেদা জিয়া, যারা এই যুদ্ধাপরাধী… যারা যুদ্ধাপরাধী হিসাবে সাজাপ্রাপ্ত, তাদের যারা মন্ত্রী বানিয়েছে। তাদের বিচার প্রকাশ্যে জনগণের সামনে হওয়া দরকার; সেই ভাবে সবাইকে জনমত গড়ে তুলতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত করতেই হবে।

সম্প্রতি জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহতের ঘটনা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রশ্নের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিরা যখন নিহত হয়, তখন তাদের জন্য খালেদা জিয়ার মায়াকান্না কোথা থেকে আসে, সেটাই আমার প্রশ্ন।’

তথ্য আদায়ে জঙ্গিদের বাঁচিয়ে রাখার কোনো চেষ্টাই করা হয়নি খালেদা জিয়ার এমন অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের বাঁচিয়ে রাখার পর কী করবে সে? পূজা করবে? বেঁচে থাকলে শিকড়ের সন্ধান করা যেত। শেকড়ের তো আর সন্ধান করা লাগে না, যিনি ওদের পক্ষে সাফাই গাইছেন, শিকড়টা ওখান থেকেই আসে কি না এখন সেটা তদন্ত করে বের করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরীদের মদদ দিতে পারে, পুরস্কৃত করতে পারে। যারা যুদ্ধাপরাধীদের পতাকা দিয়ে মন্ত্রী বানাতে পারে। যারা ভোট চুরি করে খুনিদের সংসদে বসিয়ে বিরোধী দলের নেতা বানাতে পারে। তারা সব ধরনের খুনের সঙ্গে জড়িত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা যে সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত এটা তো আর মানুষকে দেখানোর প্রয়োজন নাই। এটা তো সাধারণ মানুষ নিজের চোখেই দেখেছে যে, কারা জাড়িত।

ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, শাহে আলম মুরাদ ও সাদেক খান বক্তব্য রাখেন।